Wellcome to National Portal
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪

Frequently Asked Questions (FAQs) of MRT Line-5: Southern Route

হালনাগাদের তারিখ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ক্রম

জিজ্ঞাস্য

উত্তর

 

১.

উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে বাংলাদেশের পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোরেল MRT (Line-5): Southern Route ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে কী ভূমিকা রাখবে?

MRT (Line-5): Southern Route, ঢাকা মহানগরীর দ্বিতীয় পূর্ব-পশ্চিম সংযোগকারী মেট্রোরেল। যার মাধ্যমে ২০৩০ সাল নাগাদ দৈনিক প্রায় ৯ লক্ষ ২৪ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। প্রতিটি একমুখী মেট্রোরেল ৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড পরপর যাত্রা শুরু করে ১৫ টি স্টেশনে থেমে ২৮.০২ মিনিটে গাবতলী থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত যাতায়াত করবে । প্রতিটি ট্রেনের সর্বোচ্চ যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ২৩১২ জন। এতে স্বল্প সময়ে অধিক সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে ।

 

Asian Development Bank (ADB) এর সমীক্ষা অনুযায়ী ২০৩০-২০৩১ অর্থ বছরে যাত্রীদের MRT (Line-5): Southern Route ব্যাবহার করে যাতায়াত এর মাধ্যমে মোট ২১ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭০ হাজার কর্মঘন্টা সাশ্রয় হবে। বছরে জ্বালানী সাশ্রয় হবে ৪১.২২ হাজার টন । রাস্তার গাড়ি চলাচলের মাধ্যমে অতিক্রান্ত দূরত্ব বছরে ৬৪২ হাজার কিলোমিটার হ্রাস পাবে, যার ফলশ্রুতিতে রাস্তায় ১,০৪৯ সংখ্যক গাড়ির চলাচল কমে যাবে। বায়ুতে প্রতি বছরে ২,০৭,৯৬৪ টন CO2 নির্গমন হ্রাস পাবে।

 

ঢাকা মহানগরীর দ্বিতীয় পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোরেল MRT (Line-5): Southern Route সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত বিধায় কোন ধরনের জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানী ব্যবহৃত হবে না। ফলে বায়ু দূষণ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। Railway Track এর নিচে Mass Spring System (MSS) থাকবে। Slab Track with Continuous Welded Rail (CWR) ব্যবহার করা হবে। যার ফলে ঝাঁকুনি কম হবে। রোলিংস্টকসমূহে  ব্রেক কন্ট্রোল স্কিমে ইলেক্ট্রো-নিউমেটিক সার্ভিস সিস্টেম থাকবে যার দরুন ব্রেকিং কন্ট্রোল এর সময় ঝাঁকুনির হারও কম হবে। উড়াল মেট্রোরেলের ভায়াডাক্টের উভয় পার্শ্বে শব্দ প্রতিবন্ধক দেয়াল থাকবে এবং পাতাল মেট্রোরেলের টানেল সংলগ্ন মাটি শব্দ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। ফলশ্রুতিতে মেট্রোরেলে শব্দ ও কম্পন দূষণ মাত্রা মানদন্ড সীমার অনেক নিচে থাকবে। সার্বিকভাবে পরিবেশ দূষণের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বরং পরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

২.

MRT Line-5: Southern Route বা দ্বিতীয় পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোরেলের ভাড়া কিভাবে নির্ধারণ করা হবে?

মেট্রোরেল আইন ২০১৫ এর ধারা ১৭ ও ১৮ এবং মেট্রোরেল বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ২১ ও ২২ অনুযায়ী MRT Line-5: Southern Route মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। মেট্রোরেলের পরিচালন ব্যয় ও জনসাধারণের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনাপূর্বক গঠিতব্য কমিটি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়ার হার সুপারিশ করবে। এই ভাড়া সরকার কর্তৃক চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে।

৩. MRT Line-5: Southern Route বাস্তবায়নের জন্য চলমান কারিগরি প্রকল্পের এর প্রাক্কলিত ব্যয় ও অর্থের উৎস কী?

MRT Line-5: Southern Route [PRF] এর প্রাক্কলিত ব্যয় হল:

মোট: ৪১১.৫৯ কোটি টাকা

প্রকল্প সহায়তা: ২৮১.০৪ কোটি টাকা

জিওবি: ১৩০.৫৫ কোটি টাকা

উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা Asian Development Bank (ADB) প্রকল্প সহায়তা প্রদান করছে।

৪. MRT (Line-5): Southern Route এর মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমূহ কী কী?

উদ্দেশ্য

:

ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নে দ্রুতগামী, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সময়-সাশ্রয়ী, বিদ্যুৎ চালিত, দূরনিয়ন্ত্রিত ও পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তন

গুরুত্ব

:

Fast Track

দৈর্ঘ্য

:

মোট      : ১৭.২০ কিলোমিটার (মেইন লাইন)

উড়াল    : ৪.১০ কিলোমিটার

পাতাল    : ১৩.১০ কিলোমিটার

অবকাঠামোর ধরণ

:

উড়াল এবং পাতাল

রুট এ্যালাইনমেন্ট

:

গাবতলী - টেকনিক্যাল - কল্যাণপুর - শ্যামলী - কলেজ গেইট - আসাদ গেইট - রাসেল স্কয়ার – কারওয়ান বাজার - হাতিরঝিল - তেজগাঁও - আফতাবনগর - আফতাবনগর সেন্টার -আফতাবনগর পূর্ব - নাছিরাবাদ – দাশেরকান্দি।

স্টেশনের সংখ্যা এবং নাম

:

মোট : ১৫টি

উড়াল : ০৪ টি

পাতাল : ১১ টি

উড়াল স্টেশন: আফতাবনগর সেন্টার -আফতাবনগর পূর্ব - নাছিরাবাদ - দাশেরকান্দি

পাতাল স্টেশন: গাবতলী - টেকনিক্যাল - কল্যাণপুর - শ্যামলী - কলেজ গেইট - আসাদ গেইট - রাসেল স্কয়ার - কারওয়ান বাজার - হাতিরঝিল - তেজগাঁও – আফতাবনগর।

মেট্রো রেল সেটের সংখ্যা

:

প্রথমে ৬ কোচ বিশিষ্ট ১৯ সেট মেট্রো রেল দিয়ে পরিচালনা শুরু করা হবে। তবে ২০৪০ ‍সাল হতে ৬ কোচ বিশিষ্ট ট্রেন হতে ৮ কোচ বিশিষ্ট ট্রেন এ উন্নীত হবে।

কোচের যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা

:

মাঝের ৪ টি কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৯১ জন এবং ড্রাইভিং ট্রেইলার কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৭৪ জন করে প্রতিটি মেট্রো রেলে সর্বোচ্চ ২৩১২ জন যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা রয়েছে। শুরুতে (২০৩০ সালে) একমুখী ট্রেনে প্রতি ঘন্টায় ২০,১০৭ জন যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে, যা ২০৬০ সালে ৩৮২৫৫ জনে উন্নীত হবে। প্রতিটি ট্রেনে একটি Female dedicated coach থাকবে।

মেট্রো রেলের ফ্রিকোয়েন্সি

:

৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড (২০৩০)

৩ মিনিট ১০ সেকেন্ড (২০৬০)

মেট্রো রেলের পরিচালন ব্যবস্থা

:

Communication Based Train Control (CBTC) System

সর্বোচ্চ পরিচালন গতি

:

উড়াল    : ১০০ কিলোমিটার/ঘন্টা

পাতাল    : ৯০ কিলোমিটার/ঘন্টা

মেট্রো ট্র্যাকের ধরণ

:

Dual Continuous Welded Rail; (UIC 60)

গেজ

:

স্ট্যান্ডার্ড গেজ (১৪৩৫ মিলিমিটার)

যাতায়াতের সময়

:

গাবতলী থেকে দাশেরকান্দি ও বিপরীতক্রমে ২৮.০২ মিনিট
৫.

MRT Line-5: Southern Route [PRF] প্রকল্পের অগ্রগতি কী?

MRT Line-5: Southern Route নির্মাণের নিমিত্ত প্রাক সম্ভাব্যতা যাচাই এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জানুয়ারী ২০২০ থেকে জুন ২০২৩ মেয়াদে প্রায় ৪০৯ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে Technical Assistance for Dhaka Mass Rapid Transit Development Project (Line-5): Southern Route অনুমোদিত হয়েছে। MRT Line-5: Southern Route এর Project Readiness Financing [PRF] এর নিমিত্ত উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা Asian Development Bank (ADB) এর সাথে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত ২৯ মার্চ ২০২১ তারিখ Feasibility Study, Detailed Design and Tender Assistance করার নিমিত্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। গত ০৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখ থেকে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। প্রকল্পের Feasibility Study বিগত নভেম্বর ২০২২ এ সম্পন্ন হয়েছে। গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে Detailed Engineering Design এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে পরবর্তী বিনিয়োগ প্রকল্পের জন্য Procurement এর document তৈরীর কাজ চলমান রয়েছে।

৬.

MRT Line-5: Southern Route এর পাতাল ও উড়াল স্টেশনগুলোর Concourse দিয়ে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাওয়া-আসা করা যাবে কী?

পাতাল ও উড়াল মেট্রোরেলের সমন্বয়ে MRT Line-5: Southern Route নির্মাণ করা হচ্ছে। ১৫টি স্টেশনের মধ্যে ৪টি স্টেশন হবে উড়াল এবং ১১টি স্টেশন হবে পাতাল। পাতাল স্টেশনের Underground Concourse দিয়ে Underpass এর ন্যায় স্টেশনের সিঁড়ি, লিফ্‌ট এবং এস্কেলেটর ব্যবহার করে রাস্তার এপার থেকে ওপারে আসা যাওয়া করা যাবে। একইভাবে উড়াল স্টেশনের সিঁড়ি, লিফ্‌ট এবং এস্কেলেটর ব্যবহার করে Concourse লেভেল দিয়ে রাস্তার এপার-ওপার যাতায়াত করা যাবে। পথচারীগণ রাস্তা পারাপারের জন্য এ ব্যবস্থাকে বিদ্যমান ফুটওভার ব্রীজ/আন্ডারপাসের অতিরিক্ত সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে পথচারীগণ পেইড জোন এলাকায় ও প্লাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবেন না।

৭.

MRT Line-5: Southern Route এ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের কি কি ব্যবস্থা থাকবে?

MRT Line-5: Southern Route পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে গাবতলী স্টেশন এবং দাশেরকান্দি ডিপো সংলগ্ন এলাকায় দুটি রিসিভিং সাবস্টেশন (RSS) নির্মাণ করা হবে। গাবতলী রিসিভিং সাবস্টেশনে (RSS-1) পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) এর কল্যাণপুর গ্রীড সাবস্টেশন হতে ১৩২ কেভি এর দুইটি পৃথক সার্কিট এবং দাশেরকান্দি ডিপো সংলগ্ন রিসিভিং সাবস্টেশনে (RSS-2) ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এর আফতাবনগর গ্রীড সাবস্টেশন হতে ১৩২ কেভি এর দুইটি পৃথক সার্কিট এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করা হবে। উভয়  রিসিভিং সাবস্টেশনে ব্যাকআপ হিসেবে একটি করে অতিরিক্ত (redundant) ট্রান্সফর্মার থাকবে বিধায় মেট্রোরেল পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কোনো কারণে কোনো সময় জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া না গেলে মেট্রোরেলের Energy Storage System (ESS) হতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে মেট্রোরেলকে নিকটবর্তী স্টেশনে নিয়ে আসা হবে। উল্লেখ্য, Energy Storage System (ESS) মূলতঃ ব্যাটারি ব্যাকআপ সিস্টেম যা মেট্রোরেলের Regenerative Braking Energy দ্বারা নিয়মিত চার্জ হতে থাকবে। MRT Line-5: Southern Route পরিচালনায় Overhead Catenary System (OCS)-এ ১৫০০ ভোল্ট ডিসি ব্যবহৃত হবে। মেট্রো ট্রেনসমূহ Pantograph এর সাহায্যে OCS হতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ গ্রহণ করবে।

৮.

MRT Line-5: Southern Route System ও MRT Line-5: Southern Route এ যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে কী ধরনের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত আছে?

MRT Line-5: Southern Route System এর যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে Communication Based Train Control (CBTC) System অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে Automatic Train Operation (ATO), Automatic Train Protection (ATP), Automatic Train Supervision (ATS) ও Moving Block System (MBS) অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নিরাপদে Track পরিবর্তনের জন্য Computerized Interlocking ব্যবস্থা থাকবে। মেট্রোরেলে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপত্তার নিমিত্ত Synchronized Platform Screen Door (PSD) and Train Door এবং Internet Protocol (IP) Camera System অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আপৎকালীন সময়ে মেট্রোরেলের অভ্যন্তর থেকে বাহির হওয়ার জন্য জরুরি বহির্গমন দরজা রাখা হবে। মেট্রো স্টেশন, রুট এ্যালাইনমেন্ট ও মেট্রোরেলে অনাকাঙ্খিত অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা হিসেবে স্বয়ংক্রিয় Sprinkler ও Water Hydrant সংযোজনের ব্যবস্থা রাখা হবে। Underground Station এবং রেলে সকল মালামাল Fire Resistant হবে। জরুরি অবস্থায় Ventilation Shaft দিয়ে ধোঁয়া নির্গমন করা যাবে। ফায়ারম্যানগণের জন্য পৃথক প্রবেশ পথ থাকবে। সর্বোপরি, মেট্রোরেলে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র বিশেষায়িত MRT Police Force গঠন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

৯.

ভাড়া ব্যতীত রাজস্ব আয়ের জন্য MRT Line-5: Southern Route এর আওতায় কী কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে?

বিভিন্ন দেশের মেট্রোরেল পরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, শুধুমাত্র ভাড়ার আয় হতে লাভজনকভাবে মেট্রোরেল পরিচালনা করা যায় না। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলো মেট্রোরেল পরিচালনার পাশাপাশি মেট্রোরেলের আন্তঃলাইন সংযোগ স্টেশন, ডিপো ও প্রধান প্রধান স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ক্রমান্বয়ে Transit Oriented Development (TOD) Hub এবং Station Plaza হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করে। মেট্রোরেলের ভাড়া জনগণের সাধ্যের মধ্যে রাখার জন্যও Transit Oriented Development (TOD) Hub এবং Station Plaza নির্মাণ করা হয়ে থাকে। মেট্রোরেলের প্রত্যেকটি স্টেশনের Concourse Space ব্যবহার করে বাণিজ্যিক স্পেস সৃষ্টি করা হয়ে থাকে। এই অভিজ্ঞতা থেকে MRT Line-5: Southern Route এর দাশেরকান্দি (E-15) স্টেশনের নিকট একটি Transit Oriented Development (TOD) Hub এবং অন্যান্য কয়েকটি স্টেশনের পাশে জায়গা প্রাপ্তি সাপেক্ষে কিছু Station Plaza নির্মাণ এবং Elevated Station এর Entry/Exit-এ বাণিজ্যিক স্পেস  রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।

১০.

MRT Line-5: Southern Route নির্মাণকালীন যানজট নিরসনে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে?

MRT Line-5: Southern Route নির্মাণকালীন যানজট নিরসনে Traffic Management Plan (TMP) গ্রহণ করা হবে। MRT Line-6 এর ন্যায় উড়াল অংশের জন্য সড়কের মিডিয়ান বরাবর Hard Barrier দিয়ে অভ্যন্তরে ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে। এতে এ সড়কে যাতায়াতকারী যানবাহন Hard Barrier-এর পার্শ্ব দিয়ে এবং সার্ভিস রোড দিয়ে সহজেই যাতায়াত করতে পারবে।

পাতাল অংশে ১১টি স্টেশন রয়েছে, যা অত্যাধুনিক উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে (Open Cut Method) নির্মাণ করা হবে। প্রথমে সড়কের অর্ধেকাংশ ব্যবহার করে উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে প্রায় ২২০ মিটার দীর্ঘ স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এ সময়ের পর নির্মাণাধীন স্টেশন অংশ প্রায় ১০ ইঞ্চি পুরু স্টীল পাত দিয়ে ঢেকে দেয়া হবে। এ পাতের উপর দিয়ে অনায়াসে যানবাহন চলাচল করতে পারবে এবং অভ্যন্তরে স্টেশন নির্মাণের অবশিষ্ট কাজ চলতে থাকবে। টানেল নির্মাণে যানবাহন চলাচলে কোন প্রভাব পড়বে না।

১১.

MRT Line-5: Southern Route এর নির্মাণকাজ শুরুর পূর্বে পরিসেবাসমূহ স্থানান্তরের পরিকল্পনা কী?

MRT Line-5: Southern Route এর উড়াল রুট এ্যালাইনমেন্ট এবং স্টেশন এলাকা হতে পরিসেবা স্থানান্তরের নিমিত্তে ইতোমধ্যে Utility Identification Survey সম্পন্ন করা হয়েছে এবং তদানুসারে Utility Relocation Plan প্রস্তুত করা হয়েছে। পূর্ত কাজ শুরুর পূর্বেই সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসমূহ স্থানান্তর করা হবে। তবে টানেলের উপরিভাগ ভূ-পৃষ্ঠের যথেষ্ঠ নিচ দিয়ে নির্মাণ করা হবে বিধায় পরিসেবা স্থানান্তরের প্রয়োজন হবে না।

১২.

MRT Line-5: Southern Route এর পাতাল অংশে বায়ু চলাচলের জন্য কী ব্যবস্থা রাখা হবে?

প্রত্যেকটি পাতাল স্টেশন ও পাতাল রেল সম্পূর্ণভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। MRT Line-5: Southern Route এর টানেল, স্টেশন এলাকা ও রেলের অভ্যন্তরে পর্যান্ত বায়ু প্রবাহের জন্য অত্যাধুনিক ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা রাখা হবে। 

১৩.

MRT Line-5: Southern Route এর ভূগর্ভস্থ অংশে জলমগ্নতা বা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কোন আশঙ্কা আছে কি?

MRT Line-5: Southern Route এর স্টেশনগুলোর প্রবেশ ও বহির্গমন পথে সর্বোচ্চ বন্যার স্তর (Highest Flood Level) এর উপরে বিশেষ প্রতিরোধক দেয়াল থাকবে। ফলে মেট্রোরেল এর ভূগর্ভস্থ অংশে পানি প্রবেশ করার সুযোগ নেই। উপরন্তু, ভূগর্ভস্থ অংশে কোন কারণে অতিরিক্ত পানি জমা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানির পাম্প চালু হয়ে পানি নিষ্কাশন করে দিবে। এতে ভূগর্ভস্থ অংশে জলমগ্নতা বা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। 

১৪.

MRT Line-5: Southern Route এর টানেল নির্মাণকালে উত্তোলনকৃত বিপুল পরিমাণ মাটির ব্যবস্থাপনা কিভাবে করা হবে?

উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে প্রতিটি পাতাল স্টেশন নির্মাণকালে উত্তোলনকৃত মাটির পরিমাণ হবে আনুমানিক ৭০,০০০ ঘন মিটার এবং টানেলসহ মোট ১১টি পাতাল স্টেশন নির্মাণকালে সর্বমোট উত্তোলনকৃত মাটির পরিমাণ হবে আনুমানিক ৩১,২০,০০০ ঘন মিটার। এ বিপুল পরিমাণ মাটি দাশেরকান্দি ও তৎসংলগ্ন নিন্মাঞ্চলের ভূমি উন্নয়ন ও ডিপোর সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যবহার করা হবে। সরকারি মহাসড়ক, সড়ক, বাঁধ ইত্যাদি নির্মাণেও ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যান্য এমআরটি লাইনসমূহের ডিপোর ভূমি উন্নয়নেও এ মাটি ব্যবহার করা যেতে পারে। অতঃপর কোনো মাটি অবশিষ্ট থাকলে উন্মুক্ত দরপত্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে।

১৫.

MRT Line-5: Southern Route এর টানেল ও স্টেশন নির্মাণকালে পার্শ্ববর্তী স্থাপনার উপর কোন প্রভাব পড়বে কি?

MRT Line-5: Southern Route এর টানেল মূল সড়ক বরাবর মাটির ১৬ থেকে ৩৮ মিটার গভীরতায় নির্মাণ করা হবে। Tunnel Boring Machine (TBM) ব্যবহার করে টানেল নির্মাণ করা হবে। এতে সড়কের পার্শ্ববর্তী স্থাপনায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

১৬.

MRT Line-5: Southern Route এর টানেল মাটির উপরিভাগ থেকে কত গভীরতায় নির্মাণ করা হবে?

MRT Line-5: Southern Route এর টানেল মাটির উপরিভাগ থেকে ১৬ থেকে ৩৮ মিটার গভীরতায় নির্মাণ করা হবে। 

১৭.

MRT Line-5: Southern Route এর  সঙ্গে অন্যান্য MRT Line এর Interchange কোন কোন স্টেশনে থাকবে?

নির্মিতব্য MRT Line-5: Southern Route এর সঙ্গে

১। MRT Line-5: Southern Route এর গাবতলী স্টেশনে এমআরটি লাইন-৫: নর্দার্ন রুট, এবং এমআরটি লাইন-২ এর সঙ্গে Interchange থাকবে।

২। MRT Line-5: Southern Route এর কারওয়ান বাজার স্টেশনে এমআরটি লাইন-৬ এর সঙ্গে Interchange থাকবে।

৩। MRT Line-5: Southern Route এর আফতাবনগর স্টেশনে এমআরটি লাইন-১ এর সঙ্গে Interchange থাকবে।