হালনাগাদের তারিখ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
ক্রম |
জিজ্ঞাসা |
উত্তর |
||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১. |
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) বা মেট্রোরেল কী? |
Mass Rapid Transit (MRT) বা মেট্রোরেল মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার সমন্বয়ে রেলভিত্তিক একত্রে অধিক যাত্রী দ্রুত পরিবহনে সক্ষম একটি অত্যাধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা। এমআরটি বা মেট্রোরেল উড়াল অথবা পাতাল অথবা উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে নির্মাণ করা হয়ে থাকে। মেট্রোরেল দূরনিয়ন্ত্রিত, দ্রুতগামী, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সময়-সাশ্রয়ী, বিদ্যুৎ চালিত, পরিবেশবান্ধব ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গণপরিবহন। মেট্রোরেল জনবহুল মহানগরীর যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। মেট্রোরেলের স্টেশনসমূহ কম-বেশি এক কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত হয় বিধায় স্টেশনের ৫০০ থেকে ১০০০ মিটার পরিধির মধ্যে অবস্থিত জনসাধারণ হেঁটে বা সাইকেলে চড়ে মেট্রোরেল স্টেশনে এসে মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারেন। |
||||||||||||||||||||||||
২. |
ঢাকা মেট্রোরেল বাস্তবায়নকারী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কোনটি এবং এর রূপকল্প ও অভিলক্ষ্য কী? |
ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে Mass Rapid Transit (MRT) বা মেট্রোরেলের পরিকল্পনা, সার্ভে, ডিজাইন, অর্থায়ন, নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের নিমিত্ত গত ০৩ জুন ২০১৩ তারিখ শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন Dhaka Mass Transit Company Limited (DMTCL) গঠন করা হয়। ডিএমটিসিএল এর রূপকল্প বাঁচবে সময়, বাঁচবে পরিবেশ যানজট কমাবে মেট্রোরেল ডিএমটিসিএল এর অভিলক্ষ্য দ্রুতগামী, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সময় সাশ্রয়ী, বিদ্যুৎচালিত, পরিবেশবান্ধব ও দূরনিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গণপরিবহণ ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসন |
||||||||||||||||||||||||
৩. |
ঢাকা মেট্রোরেল নির্মাণে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ কী? |
ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৬(ছয়)টি মেট্রোরেল সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার নিমিত্ত নিম্নোক্ত সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে: সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০
|
||||||||||||||||||||||||
৪. |
সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০-এ অন্তর্ভুক্ত ৬টি মেট্রোরেলের রুট এ্যালাইনমেন্ট এবং স্টেশনসমূহের অবস্থান কী? |
সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০-এ অন্তর্ভুক্ত ৬টি মেট্রোরেলের রুট এ্যালাইনমেন্ট হল: MRT Line-6 এর রুট এ্যালাইনমেন্ট উত্তরা ৩য় পর্ব - পল্লবী - রোকেয়া সরণির পশ্চিম পার্শ্ব দিয়ে খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেট - হোটেল সোনারগাঁও - শাহবাগ - টিএসসি - দোয়েল চত্ত্বর - তোপখানা রোড - বাংলাদেশ ব্যাংক - জসিম উদ্দিন রোডের প্রথম অংশ হয়ে দক্ষিণ দিক দিয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের সম্মুখস্থ সার্কুলার রোড। MRT Line-6 এর স্টেশন উত্তরা উত্তর - উত্তরা সেন্টার - উত্তরা দক্ষিণ - পল্লবী - মিরপুর ১০ - মিরপুর ১১ - কাজীপাড়া - শেওড়াপাড়া - আগারগাঁও - বিজয় সরণি - ফার্মগেট - কারওয়ান বাজার - শাহবাগ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় - বাংলাদেশ সচিবালয় - মতিঝিল - কমলাপুর MRT Line-1 এর রুট এ্যালাইনমেন্ট ও স্টেশনের অবস্থান বিমানবন্দর রুট: বিমানবন্দর - বিমানবন্দর টার্মিনাল ৩ - খিলক্ষেত - নদ্দা - নতুন বাজার - উত্তর বাড্ডা - বাড্ডা - আফতাব নগর - রামপুরা - মালিবাগ - রাজারবাগ - কমলাপুর
পূর্বাচল রুট: নতুন বাজার - নদ্দা - জোয়ার সাহারা - বোয়ালিয়া - মস্তুল - পূর্বাচল স্টেডিয়াম - পূর্বাচল সেন্টার - পূর্বাচল পূর্ব - পূর্বাচল টার্মিনাল - পিতলগঞ্জ ডিপো MRT Line-5: Northern Route এর রুট এ্যালাইনমেন্ট ও স্টেশনের অবস্থান হেমায়েতপুর - বলিয়ারপুর - বিলামালিয়া - আমিনবাজার - গাবতলী - দারুস সালাম - মিরপুর ১ - মিরপুর ১০ - মিরপুর ১৪ - কচুক্ষেত - বনানী - গুলশান ২ - নতুন বাজার - ভাটারা MRT Line-5: Southern Route এর রুট এ্যালাইনমেন্ট ও স্টেশনের অবস্থান গাবতলী - টেকনিক্যাল - কল্যাণপুর - শ্যামলী - কলেজ গেইট - আসাদ গেইট - রাসেল স্কয়ার - কারওয়ান বাজার - হাতিরঝিল - তেজগাঁও - আফতাব নগর - আফতাব নগর সেন্টার - আফতাব নগর পূর্ব - নাছিরাবাদ - দাশেরকান্দি MRT Line-2 এর প্রস্তাবিত রুট এ্যালাইনমেন্ট মেইন লাইন গাবতলী - ঢাকা উদ্যান - মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড - ঝিগাতলা - সাইন্স ল্যাবরেটরি - নিউমার্কেট - আজিমপুর -পলাশী - ঢাকা মেডিকেল কলেজ - গুলিস্তান - মতিঝিল - কমলাপুর - মান্ডা - দক্ষিণগাঁও - দামড়িপাড়া - সাইনবোর্ড - ভূইঘর - জালকুড়ি - নারায়ণগঞ্জ জেলা সদর ব্রাঞ্চ লাইন গুলিস্তান - নয়া বাজার - সদরঘাট MRT Line-4 এর প্রস্তাবিত রুট এ্যালাইনমেন্ট কমলাপুর - সায়েদাবাদ - যাত্রাবাড়ী - শনির আখড়া - সাইনবোর্ড - চট্টগ্রাম রোড - কাঁচপুর - মদনপুর |
||||||||||||||||||||||||
৫. |
সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ অনুযায়ী মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক ম্যাপ কিরূপ? |
|||||||||||||||||||||||||
৬. |
সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ এবং প্রক্রিয়াধীন পরবর্তী সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক ম্যাপ কিরূপ? |
|||||||||||||||||||||||||
৭. |
সরকারের সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ পরবর্তী পরিকল্পনা কী? |
মেট্রোরেল আইন ২০১৫ এর ধারা-১ এর উপধারা-(২) (ক) অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর এবং নরসিংদী জেলাকে মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ এর আওতায় MRT Line-2 এর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীকে মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে নিম্নোক্তভাবে MRT Line সমূহ বর্ধিত করার পরিকল্পনা রয়েছে:
তৃতীয় পর্যায়ে নিম্নোক্তভাবে MRT Line সমূহ বর্ধিত করার পরিকল্পনা রয়েছে:
এই প্রেক্ষাপটে Mid-term Review and Updating of Revised Strategic Transport Plan for DTCA Area (MTR-RSTP)-তে MRT Line সমূহের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। |
||||||||||||||||||||||||
৮. |
ঢাকা মহানগরীর পূর্ব-পশ্চিম MRT Corridor-গুলো কী কী? |
সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ অনুযায়ী ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর আওতায় ০৬টি এমআরটি লাইন বা মেট্রোরেল নির্মাণ বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন আছে। তন্মধ্যে পূর্ব-পশ্চিম MRT Corridor গুলো হল:
|
||||||||||||||||||||||||
৯. |
ঢাকা মেট্রোরেলের ৬টি রুটের মধ্যে কোন কোন স্টেশনে আন্তঃলাইন সংযোগ থাকবে? |
৬টি মেট্রোরেল লাইনের মধ্যে নিম্নলিখিত স্টেশনসমূহে আন্তঃলাইন সংযোগ থাকবে:
|
||||||||||||||||||||||||
১০. |
ডিএমটিসিএল এর আওতায় বাস্তবায়িত, বাস্তবায়নাধীন এবং অনুমোদনাধীন প্রকল্পসমূহের নাম কী? |
ডিএমটিসিএল এর আওতায় বাস্তবায়িত প্রকল্পের নাম নিম্নরূপ: কারিগরি প্রকল্প
ডিএমটিসিএল এর আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের নাম নিম্নরূপ: বিনিয়োগ প্রকল্প
কারিগরি প্রকল্প
ডিএমটিসিএল এর আওতায় অনুমোদনাধীন/পরিকল্পনাধীন প্রকল্পসমূহের নাম নিম্নরূপ: বিনিয়োগ প্রকল্প
কারিগরি প্রকল্প
|
||||||||||||||||||||||||
১১. |
ডিএমটিসিএল এর আওতায় পরিচালনাধীন MRT Line-6 উত্তরা উত্তর থেকে গাজীপুর জেলার টংগী পর্যন্ত বর্ধিত করার কোনো পরিকল্পনা আছে কী? |
MRT Line-6 উত্তরা উত্তর থেকে গাজীপুর জেলার টঙ্গী পর্যন্ত সম্ভাব্য ৭.৫০ কিলোমিটার বর্ধিত করার নিমিত্ত Pre-feasibility Study ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য যে, উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মেট্রোরেল বর্ধিতকরণের নিমিত্ত এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও Future Extension Part রাখা আছে। |
||||||||||||||||||||||||
১২. |
MRT Line-6 উত্তরা উত্তর থেকে গাজীপুর জেলার টঙ্গী পর্যন্ত অংশের সম্ভাব্য রুট এ্যালাইনমেন্ট কী? |
MRT Line-6 উত্তরা উত্তর থেকে গাজীপুর জেলার টঙ্গী পর্যন্ত সম্ভাব্য রুট এ্যালাইনমেন্ট হল: উত্তরা উত্তর-দিয়াবাড়ি বাজার-সোনারগাঁও জনপথ রোড পশ্চিম- সোনারগাঁও জনপথ রোড পূর্ব-টঙ্গী বাজার-টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন। |
||||||||||||||||||||||||
১৩. |
সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে কী ভূমিকা রাখবে? |
সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ অনুযায়ী ৬টি এমআরটি বা মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ সম্পন্ন হলে দৈনিক ৫২,৪০,৬৪৩ (বায়ান্ন লক্ষ চল্লিশ হাজার ছয়শত তেতাল্লিশ) জন যাত্রী মেট্রোরেল ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। দৈনিক যাতায়াতকারী যাত্রীগণের লাইনভিত্তিক পরিসংখ্যান নিম্নরূপ:
* Feasibility Study সম্পন্ন হওয়ার পর চূড়ান্ত সংখ্যা পাওয়া যাবে। মেট্রোরেল অল্প সময়ে অধিক সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করে। এতে ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। ঢাকা মহানগরীর যাতায়াত ব্যবস্থায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ হচ্ছে। মহানগরবাসীর কর্মঘন্টা সাশ্রয় হতে শুরু করেছে। MRT Line-6 এর উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল অংশে যানজট কমতে শুরু করেছে। |
||||||||||||||||||||||||
১৪. |
ডিএমটিসিএল এবং এর আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহে সরসরি জনবল নিয়োগের পদ্ধতি কী? |
ডিএমটিসিএল এবং এর আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সরাসরি জনবল নিয়োগ করা হয়ে থাকে। এই জন্য ন্যূনতম একটি বাংলা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এবং একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। এছাড়াও ডিএমটিসিএল এর ওয়েবসাইট www.dmtcl.gov.bd; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ওয়েবসাইট www.rthd.gov.bd এবং বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নের ওয়েবসাইট www.bangladesh.gov.bd-তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আপলোড করা হয়। প্রাপ্ত আবেদন ও সংযুক্তিসমূহ যাচাই বাছাই করে লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। চূড়ান্ত তালিকার ভিত্তিতে প্রার্থীগণকে প্রথমে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। লিখিত অথবা লিখিত ও ব্যবহারিক উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রার্থীকে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোম্পানির নির্ধারিত মনোবিজ্ঞানী/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহিত মনস্তাত্বিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। লিখিত, ব্যবহারিক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), মৌখিক ও মনস্তাত্বিক পরীক্ষায় (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সমন্বিত মেধাক্রম প্রস্তুত করা হয়। শূন্য পদের বিপরীতে মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান করা হয়। নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীকে কোম্পানির নির্ধারিত চিকিৎসক/চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডোপ টেস্ট এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। ডোপ টেস্ট এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নির্ধারিত ফরমে সন্তোষজনক পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তিসাপেক্ষে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। অন্যান্য বিষয়াদি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়োগপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত হয়ে থাকে। ব্যক্তিগত যোগাযোগ বা সুপারিশের ভিত্তিতে জনস্বার্থে কোনো নিয়োগ প্রদান করা হয় না। |
||||||||||||||||||||||||
১৫. |
ডিএমটিসিএল এর আওতায় Transit Oriented Development (TOD) Hub নির্মাণের অগ্রগতি কী? |
বিভিন্ন দেশের মেট্রোরেল পরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, শুধুমাত্র ভাড়ার আয় হতে লাভজনকভাবে মেট্রোরেল পরিচালনা করা যায় না। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলো ভাড়া থেকে সর্বোচ্চ ৬৫% আয় করে থাকে। অবশিষ্ট ৩৫% আয় সরকার/স্থানীয় সরকার ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করে থাকে। বিকল্প হিসেবে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলো মেট্রোরেল পরিচালনার পাশাপাশি মেট্রোরেল রুট এ্যালাইনমেন্ট সংলগ্ন এলাকায় Transit Oriented Development (TOD) Hub এবং Station Plaza নির্মাণ করে থাকে। এই বাস্তবতায় MRT Line-6 এর উত্তরা সেন্টার স্টেশন সংলগ্ন ভূমিতে এবং এমআরটি লাইন-৫: নর্দার্ন রুট এর গাবতলী মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় TOD Hub নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় MRT Line-6 এর উত্তরা সেন্টার মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় TOD Hub নির্মাণের নিমিত্ত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) হতে ৩২.২৭৭ একর ভূমির বরাদ্দ যথাযথ প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা JICA’র অর্থায়নে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় বাস্তবায়নাধীন Project for Development of Policy and Guidelines for Transit Oriented Development along Mass Transit Corridors এর আওতায় MRT Line-6 এর উত্তরা সেন্টার মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় TOD নির্মাণের জন্য নির্ধারিত ভূমিকে Green Field এবং এমআরটি লাইন-৫: নর্দার্ন রুট এর গাবতলী মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় TOD নির্মাণের জন্য নির্ধারিত ভূমিকে Brown Field হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। MRT Line-1 এর রুট এ্যালাইনমেন্টে TOD নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে ভূমি অনুসন্ধান করা হচ্ছে। |
||||||||||||||||||||||||
১৬. |
ডিএমটিসিএল এর আওতায় Station Plaza নির্মাণের অগ্রগতি কী? |
Dhaka MRT Network-এর প্রতিটি লাইনের প্রধান প্রধান মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় উড়ালে ও পাতালে সুবিধাজনক স্থানে ন্যূনতম ৪টি করে Station Plaza গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় MRT Line-6 এর উত্তরা উত্তর, আগারগাঁও, ফার্মগেট ও কমলাপুর মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় Station Plaza নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ এবং বিভিন্ন সংস্থার ভূমি হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রাপ্তির কার্যক্রম চলমান আছে। ইতোমধ্যে Station Plaza সমূহের Layout Plan প্রস্তুত করা হয়েছে। MRT Line-6 এর উত্তরা উত্তর ও কমলাপুর মেট্রোরেল টার্মিনাল স্টেশনদ্বয়ে দীর্ঘ মেয়াদে গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যান্য মেট্রোরেল লাইনসমূহেও অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। |
||||||||||||||||||||||||
১৭. |
মেট্রোরেল সিস্টেম এবং যাত্রী নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী রূপ? |
গত ২১ মে ২০২৩ তারিখ ০৩টি ক্যাডার পদ ও ২২৮টি নন-ক্যাডারপদসহ মোট ২৩১টি পদ সমন্বয়ে MRT Police Force গঠন করা হয়েছে। MRT Police Force প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকা মহানগর পুলিশ, আর্ম পুলিশ ব্যাটেলিয়ান, আনসার দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সর্বোপরি, ডিএমটিসিএল এর নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী এবং প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মীও নিয়োজিত আছেন। |
||||||||||||||||||||||||
১৮. |
MRT Training Center- এ প্রদত্ত প্রশিক্ষণের অগ্রগতি কী? |
DMTCL এর নিজস্ব জনবলকে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য MRT Line-6 এর উত্তরাস্থ ডিপোতে বহুতল বিশিষ্ট এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সামগ্রীর সমন্বয়ে MRT Training Center নির্মাণ করে চালু করা হয়েছে। প্রশিক্ষনার্থীগণের থাকার জন্য Dormitory রয়েছে। ইতোমধ্যে MRT Training Center এর অধ্যক্ষ, প্রশিক্ষক, ডেমোন্সট্রেটর ইত্যাদি নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে নব নিযুক্ত জনবলকে নিয়মিত স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী MRT Training Center-কে Center of Excellence হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। |
||||||||||||||||||||||||
১৯. |
মেট্রোরেলে নিয়োজিত জনবলের প্রশিক্ষণের জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে? |
মেট্রোরেল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নিয়োজিত জনবলের প্রশিক্ষণ প্রদানের নিমিত্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদয় অনুশাসন প্রদান করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মেট্রোরেলে নবনিযুক্ত জনবলকে দেশে ওরিয়েন্টেশন কোর্স করানো হয়। ওরিয়েন্টেশন কোর্স শেষ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মচারিগণকে বুনিয়াদি, বিদ্যুৎ, রেলওয়ে এবং টেলিকমিউনিকেশন বিষয়ক মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে নবনিযুক্তি জনবলকে বিদেশে মেট্রোরেল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং বিশেষায়িত বৈদেশিক প্রশিক্ষণ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) শেষে নিয়োজিত জনবলকে চলমান বিভিন্ন কন্ট্রাক্ট প্যাকেজসমূহের অধীনে হাতে-কলমে নিবিড় ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। |
||||||||||||||||||||||||
২০. |
মেট্রোরেল ব্যবহার সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে কি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে? |
অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে মেট্রোরেল সম্পর্কে জনসাধারণকে সম্যক ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে MRT Line-6 এর উত্তরা ডিপো এলাকায় Metro Rail Exhibition & Information Center (MEIC) নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেন্টারে মেট্রো ট্রেনের Mock Up, মূল মেট্রো ট্রেন সেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলাচলে সক্ষম ০২ সেট Mini মেট্রো ট্রেন, মেট্রো স্টেশনের সঙ্গে মিল রেখে Ticket Office Machine (TOM), Ticket Vending Machine (TVM) এবং Smart Card Based স্বয়ংক্রিয় প্রবেশ এবং বহিরগমন গেইট স্থাপন করা হয়েছে। মেট্রোরেলের অভ্যন্তরে ও মেট্রোরেল স্টেশনে যাত্রীগণের করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়সমূহ সম্বলিত এ্যানিমেটেড কার্টুন প্রদর্শন করা হচ্ছে। এই বিষয়ে মেট্রোগার্ল স্কুলে যায় মেট্রোরেলে চড়ে শিরোনামে একটি কার্টুন পুস্তিকা মূদ্রণ করে দর্শনার্থীগণের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। |
||||||||||||||||||||||||
২১. |
মেট্রোরেল Archive অথবা Museum গড়ে তোলার কোনো পরিকল্পনা আছে কী? |
মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্য কেন্দ্র সংলগ্ন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর মালিকানাধীন ভূমিতে একটি Archive অথবা Museum গড়ে তোলার পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন আছে। |
||||||||||||||||||||||||
২২. |
মেট্রোরেলের অভ্যন্তরে ও মেট্রোরেল স্টেশনে যাত্রীগণের করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়সমূহ কী কী? |
মেট্রোরেলের অভ্যন্তরে ও মেট্রোরেল স্টেশনে যাত্রীগণের করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়সমূহ সম্বলিত মেট্রোগার্ল স্কুলে যায় মেট্রোরেলে চড়ে শিরোনামে একটি এ্যানিমেটেড কার্টুন তৈরী করা হয়েছে। কার্টুনটি দেখতে নিম্নোক্ত লিংকে ক্লিক করুন: |
||||||||||||||||||||||||
২৩. |
সবার জন্য মেট্রোরেল |
ঢাকা মেট্রোরেলে বিশেষ শারীরিক চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উন্নত বিশ্বের ন্যায় প্রয়োজনীয় সুবিধাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হুইল চেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য নিম্নতর উচ্চতায় টিকেটিং বুথ, অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত স্বয়ংক্রিয় ভাড়া সংগ্রহ গেইট, হুইল চেয়ার ব্যবহারে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওয়াশ রুম, মেট্রো ট্রেনের উভয় প্রান্তের কোচের অভ্যন্তরে হুইল চেয়ারের জন্য নির্ধারিত স্থান, হুইল চেয়ার ব্যবহার বান্ধব লিফ্ট ইত্যাদি রয়েছে। হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে স্টেশনে উঠা-নামার জন্য লিফ্টের সম্মুখে ঢালু পথ (Ramp) আছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য স্টেশন এলাকা, লিফ্ট এবং ট্রেনের অভ্যন্তরে অডিও ইনফরমেশন সিস্টেম; ব্লাইন্ড স্টিক দ্বারা সহজে অনুধাবনযোগ্য Tactile টাইলস্ দ্বারা নির্মিত আলাদা রংয়ের চলার পথ; লিফ্টের অভ্যন্তরে ব্রেইল (Braille) বাটন ইত্যাদি আছে। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভিজুয়াল ডিসপ্লে/মনিটরে সেবা ও চলাচলের দিকনির্দেশনা ইত্যাদি রয়েছে। মেট্রোরেলে মহিলা যাত্রীগণের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি মেট্রো ট্রেনের সম্মুখভাগে একটি স্বতন্ত্র মহিলা কোচ আছে। বয়স্ক যাত্রীগণের জন্য মেট্রো ট্রেনের কোচের অভ্যন্তরে আসন সংরক্ষিত আছে। কাজেই মেট্রোরেলে সবাই নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়ত করতে পারছেন। |
||||||||||||||||||||||||
২৪. |
মহিলা ও শিশু যাত্রীদের জন্য মেট্রোরেলে কি ধরণের সুবিধাদি সংযোজিত আছে? |
মেট্রোরেলে মহিলা যাত্রীগণের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি মেট্রো ট্রেনের সম্মুখভাগে একটি স্বতন্ত্র মহিলা কোচ আছে। এতে প্রতি ট্রেনে প্রতিবার সর্বোচ্চ ৩৭৪ জন মহিলা যাত্রী শিশুসহ যাতায়াত করতে পারেন। মহিলা যাত্রীগণ ইচ্ছা করলে অন্য কোচেও যাতায়াত করতে পারেন। গর্ভবতী মহিলা যাত্রীগণের জন্য মেট্রোরেল স্টেশনে লিফটের ব্যবস্থা আছে এবং মেট্রো ট্রেনে আসন সংরক্ষিত আছে। এতে মহিলা যাত্রীগণ স্বাচ্ছন্দ্যে, নিরাপদে ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও বাসস্থানে যাতায়াত করতে পারছেন। মেট্রোরেল স্টেশনসমূহে প্ল্যাটফর্মে মহিলা যাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেটের ব্যবস্থা আছে এবং এতে শিশুদের ডায়াপার পরিবর্তনের সুবিধা সংযোজিত আছে। ৩ ফুটের কম উচ্চতার শিশু অবিভাবকের সঙ্গে বিনা ভাড়ায় মেট্রো ট্রেনে যাতায়াত করতে পারে। |
||||||||||||||||||||||||
২৫. |
মেট্রোরেলে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার কিরূপ? |
বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল Communication Based Train Control System (CBTC) দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হয়। CBTC তে Automatic Train Operation (ATO), Automatic Train Protection (ATP), Automatic Train Supervision (ATS) ও Moving Block System (MBS) সংযোজিত আছে। এরই অংশ হিসেবে Public Information System (PIS) এর আওতায় Automatic Next Station Display and Announcement Inside Coach এবং Automatic Display and Announcement of Train Arrival Time in Station চালু আছে। মেট্রোরেলে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপত্তার নিমিত্ত Synchronized Platform Screen Door (PSD) and Train Door এবং Internet Protocol (IP) Camera System চালু আছে। যাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের সুবিধার্থে Smart Card Based MRT Pass এবং Automatic Fare Collection (AFC) System চালু করা হয়েছে। Management Information System (MIS) ও Metro Rail Citizen Apps (MRCA) প্রবর্তনের উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। |
||||||||||||||||||||||||
২৬. |
যাত্রীগণের যাতায়াতের জন্য মেট্রোরেলের টিকেটিং সিস্টেম কী? |
মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য দুই ধরনের টিকেট চালু আছে। একটি হচ্ছে MRT Pass. অপরটি হচ্ছে Single Journey Ticket (SJT)/একক যাত্রার টিকেট. MRT Line-6 এর উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে MRT Pass ব্যবহার করে যাত্রীগণ লাইনে দাঁড়ানো ছাড়াই স্বাচ্ছন্দ্যে মেট্রো ট্রেনে যাতায়াত করছেন। যে কোনো মেট্রোরেল স্টেশনের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় অফিস (EFO) অথবা ডিএমটিসিএল এর ওয়েবসাইট www.dmtcl.gov.bd হতে MRT Pass Registration Form সংগ্রহ করে পূরণ করতে হয়। পূরণকৃত ফর্ম ও নির্ধারিত প্রাথমিক মূল্য ৫০০ টাকা (তন্মধ্যে নিরাপত্তা জামানত ২০০/- টাকা ও ব্যবহারযোগ্য অর্থের পরিমাণ ৩০০/- টাকা।) পরিশোধ করে EFO হতে MRT Pass ক্রয় করা যায়। MRT Pass এর মেয়াদ ১০ বছর এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ/টপআপ করা যায়। মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক Ticket Vending Machine (TVM) এবং Ticket Office Machine (TOM) আছে। Ticket Vending Machine (TVM) হতে স্বংয়ক্রিয়ভাবে Single Journey Ticket (SJT)/একক যাত্রার টিকেট ক্রয় করা যায়। Ticket Office Machine (TOM) হতে টিকেট বিক্রয় কর্মীর সহায়তায়ও Single Journey Ticket (SJT)/একক যাত্রার টিকেট ক্রয় করা যায়। উভয় Machine হতে যাত্রীগণ MRT Pass রিচার্জ করছেন। একক যাত্রার টিকেটের মেয়াদ টিকেট ক্রয়ের তারিখের রাত ১২:০০ ঘটিকা পর্যন্ত কার্যক্রর থাকে। Mobile Apps ব্যবহার করে যাতে MRT/Rapid Pass যেনো সহজেই রিচার্জ করা যায় সেই বিষয়ে উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন আছে। বিস্তারিত জানতে এই লিংকে প্রবেশ করুন: https://dmtcl.portal.gov.bd/site/page/d8573d11-7f71-4834-b72e-96e060fb3a0b |
||||||||||||||||||||||||
২৭. |
MRT Pass কোথায় কোথায় ব্যবহার করা যায়/যাবে? |
MRT Pass ব্যবহার করে যাত্রীগণ মেট্রোরেল ছাড়াও বিভিন্ন পরিবহন মাধ্যম যেমন-বাস র্যাপিড ট্রানজিট, বাংলাদেশ রেলওয়ে, বিআরটিসি’র বাস, বিআইডব্লিউটিসি’র নৌ-যান ও চুক্তিবদ্ধ বেসরকারি বাসে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরবচ্ছিন্নভাবে অদূর ভবিষ্যতে যাতায়াত করতে পারবেন। MRT Pass-কে Rapid Pass Compatible করা হয়েছে। |
||||||||||||||||||||||||
২৮. |
MRT Pass ক্রয় পদ্ধতি, ব্যবহারের নিয়ম এবং সুবিধাদি কী কী? |
|
||||||||||||||||||||||||
২৯. |
Single Journey Ticket (একক যাত্রার টিকেট) ক্রয় ও ব্যবহারের নিয়ম কী? |
|
||||||||||||||||||||||||
৩০. |
মেট্রোরেলে যাতায়তকারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ কোনো ছাড় আছে কী? |
মেট্রোরেলে যাতায়তকারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাড় নিম্নরূপ: ক. যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে একক যাত্রার ক্ষেত্রে বিনামূল্যে ভ্রমণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ভ্রমণের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে টিকেট অফিস হতে বিনামূল্যে একক যাত্রার টিকেট সংগ্রহ করতে হবে; খ. বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিগণ সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত আইডি কার্ড প্রদর্শন করে একক যাত্রা টিকেট [Single Journey Ticket (SJT)]-এ ১৫% ছাড় পেয়ে থাকেন; এবং গ. অনুর্ধ্ব ০৩ (তিন) ফুট উচ্চতার শিশু অভিভাবকের সঙ্গে বিনা টিকেটে ভ্রমণ করতে পারবে। বিস্তারিত জানতে এই লিংকে প্রবেশ করুন: https://dmtcl.portal.gov.bd/site/page/d8573d11-7f71-4834-b72e-96e060fb3a0b |
||||||||||||||||||||||||
৩১. |
গুলশান হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে অনাকাঙ্খিত ঘটনায় নিহত জাপানী নাগরিকদের স্মরণে কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে কী?
|
গত ০১ জুলাই ২০১৬ তারিখ ঢাকার গুলশান হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে এক অনাকাঙ্খিত ঘটনায় ০৭(সাত) জন জাপানী নাগরিক নিহত হন। তন্মধ্যে ৫(পাঁচ) জন পুরুষ ও ২(দুই) জন মহিলা। নিহত জাপানী নাগরিকগণ পরামর্শক হিসেবে Preparatory Study of Dhaka Mass Rapid Transit Development Project এ বাংলাদেশে কর্মরত ছিলেন। নিহত জাপানী নাগরিকগণ হলেন: Hashimoto Hideki, Kurosaki Nobuhiro, Ogasawara Koyo, Okamura Makoto, Sakai Yuko, Shimodaira Rui এবং Tanaka Hiroshi. বাংলাদেশ সরকার নিহত এই ০৭(সাত) জন জাপানী নাগরিকের স্মরণে উত্তরা ডিপোস্থ Metro Rail Exhibition and Information Center-এ Memorial Monument স্থাপন করেছে। প্রতিবছর জাপান ও বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে নিহতদের স্মরণে স্থাপিত Memorial Monument-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে থাকে। MRT Line-1 এবং MRT Line-5: Northern Route এর নতুন বাজার আন্তঃলাইন সংযোগ স্টেশন নির্মাণের পর Memorial Monument টি নতুন বাজার মেট্রোরেল স্টেশনে স্থানান্তর করা হবে। |
||||||||||||||||||||||||
৩২. |
বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল MRT Line-6 বায়ু দূষণ রোধে কী ভূমিকা রাখছে? |
গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ থেকে MRT Line-6 এর উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে মেট্রে ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে। মেট্রোরেল সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত বিধায় কোনো ধরণের জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানী ব্যবহৃত হচ্ছে না। ফলে মেট্রোরেল দ্বারা বায়ু দূষণ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মেট্রোরেল অল্প সময়ে অধিক সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করছে বিধায় ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। এতে জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানীর ব্যবহারও হ্রাস পাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে MRT Line-6 এর রুট এ্যালাইনমেন্টের এই অংশে বায়ু দূষণ কমে আসতে শুরু করেছে। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, MRT Line-6 এর সম্পূর্ণ অংশ চালু হলে এই রুটে যানবাহনের সংখ্যা কমার মাধ্যমে বছরে ২,০২,৭৬২ টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পাবে। মেট্রোরেল বায়ু দুষণ হ্রাসে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। |
||||||||||||||||||||||||
৩৩. |
সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ অনুযায়ী সকল মেট্রোরেল লাইন চালু হলে কি পরিমান কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পাবে? |
সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ অনুযায়ী ৬টি এমআরটি বা মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ সম্পন্ন হলে বছরে যে পরিমান কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পাবে তার লাইনভিত্তিক পরিসংখ্যান নিম্নরূপ:
|
||||||||||||||||||||||||
৩৪. |
মেট্রোরেল চালুর ফলে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের মাধ্যমে কার্বন ক্রেডিট অর্জনের জন্য কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে? |
এমআরটি লাইন-৬ কে United Nations Framework Convention on Climate Change (UNFCCC)-তে প্রাথমিক তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। UNFCCC-তে বর্তমানে কার্বন ক্রেডিট অর্জনের জন্য Article 6.4 এবং Article 6.2 তে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। Article 6.4 এ Open Market এবং Article 6.2-এ দ্বিপাক্ষিক পদ্ধতিতে কার্বন ট্রেডিং এর জন্য Joint Crediting Mechanism (JCM)-এর আওতায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের JCM সংক্রান্ত চুক্তি রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনাক্রমে জানা যায় যে, JCM এর আওতায় Article 6.2 পদ্ধতিতে কার্বন ট্রেডিং এর উদ্যোগ গ্রহণ বেশি লাভজনক। কার্বন ক্রেডিট অর্জন সংক্রান্ত বিষয়ে ডিএমটিসিএল কর্তৃক গঠিত কমিটির এক সভা গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ অনুষ্ঠিত হয়েছে। JCM এর মাধ্যমে Article 6.2 পদ্ধতি প্রয়োগ করে কার্বন ক্রেডিট অর্জনের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে। |
||||||||||||||||||||||||
৩৫. |
বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল MRT Line-6 শব্দ ও কম্পন দূষণ রোধে কী ভূমিকা রাখছে? |
শব্দ ও কম্পন দূষণ রোধে MRT Line-6 বা বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেলের Railway Track এর নিচে Mass Spring System (MSS) এবং Continuous Welded Rail (CWR) ব্যবহার করা হয়েছে। ভায়াডাক্টের উভয় পার্শ্বে শব্দ প্রতিবন্ধক দেয়াল স্থাপন করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে মেট্রোরেলে শব্দ ও কম্পন দূষণ মাত্রা মানদন্ড সীমার অনেক নিচে রয়েছে। সার্বিকভাবে শব্দ ও কম্পন দূষণে মেট্রোরেল কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে না। |
||||||||||||||||||||||||
৩৬. |
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মেট্রোরেলের অবদান কিরূপ? |
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু। দেশের সম্পূর্ণ জিডিপিতে ঢাকার অবদান প্রায় ৩৬ শতাংশ। ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ৫০ হাজার। ২০১২ সাল পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৯ হাজার ২৫৫টি। এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে ২১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৫৫টিতে উন্নীত হয়েছে। ঢাকা মহানগরীর সড়ক ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৬.১২ কিলোমিটার মাত্র। উভয়ের প্রভাবে ঢাকা মহানগরীতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং ক্রমাবনতি হচ্ছে। এই যানজট এবং এর ফলশ্রুত প্রভাবে বার্ষিক প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞগণ অভিমত ব্যক্ত করছেন। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, MRT Line-6 এর সম্পূর্ণ অংশ চালু হওয়ার পর মেট্রোরেল পরিচালনাকালে দৈনিক Travel Time Cost বাবদ প্রায় ৮ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা এবং Vehicle Operation Cost বাবদ প্রায় ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হবে। এই সাশ্রয়কৃত অর্থ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। GDP Growth Rate বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। |
||||||||||||||||||||||||
৩৭ |
ঢাকা মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক নির্মাণের ফলে কি ধরণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে? |
অত্যাধুনিক নগর পরিবহন হিসেবে মেট্রোরেল বিভিন্ন প্রকৌশল বিভাগের একটি সমন্বিত কার্যক্রম। ঢাকা মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক নির্মাণের নিমিত্ত সরকারের সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ বাস্তবায়িত হওয়ার পর শুধু ডিএমটিসিএল এর অধীনে নতুন ১২ হাজার গ্র্যাজুয়েট প্রকৌশলী ও মাঠ প্রকৌশলীদের চাকুরীর সংস্থান হবে। এরই ধারাবাহিকতায় Forward ও Backward Linkage শিল্প স্থাপন ও সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে আরও চারগুণ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলশ্রুতিতে মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য দেশের অভ্যন্তরে দক্ষ জনশক্তি তৈরী হবে। এই দক্ষ জনশক্তি দেশের চাহিদা পূরণ করেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্প্রসারমান মেট্রোরেলে কাজ করতে পারবেন। এতে বাংলাদেশের Remittance প্রবাহে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। |