Wellcome to National Portal
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪

Frequently Asked Questions (FAQs) of MRT Line-5: Northern Route

হালনাগাদের তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪

ক্রম

জিজ্ঞাস্য

উত্তর

১.

উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে MRT Line-5: Northern Route ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে কী ভূমিকা রাখবে?

MRT Line-5: Northern Route বা ঢাকা মহানগরীর প্রথম পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোরেলে ২০২৮ সালে প্রতিদিন ১২ লক্ষ ৩০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। প্রতিটি একমুখী মেট্রো ট্রেন প্রতিবারে ১৪টি স্টেশনে থেমে ৩২ মিনিটে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত যাতায়াত করবে। ট্রেনটির সর্বোচ্চ যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৩০৮৮ জন। এতে অল্প সময়ে অধিক সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় হ্রাস পাবে। জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানীর ব্যবহার কম হবে। ঢাকা মহানগরীর জীবন যাত্রায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ হবে। যানজট বহুলাংশে হ্রাস পাবে। মহানগরবাসীর কর্মঘন্টা সাশ্রয় হবে। সাশ্রয়কৃত কর্মঘন্টা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে।

ঢাকা মহানগরীর প্রথম পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোরেল MRT Line-5: Northern Route সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত বিধায় কোন ধরণের জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানী ব্যবহৃত হবে না। ফলে বায়ু দূষণ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। Railway Track এর নিচে Mass Spring System (MSS) থাকবে। Continuous Welded Rail (CWR) ব্যবহার করা হবে। উড়াল মেট্রোরেলের ভায়াডাক্টের উভয় পার্শ্বে শব্দ প্রতিবন্ধক দেয়াল থাকবে এবং পাতাল মেট্রোরেলের টানেল সংলগ্ন মাটি শব্দ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। ফলশ্রুতিতে, মেট্রোরেলে শব্দ ও কম্পন দূষণ মাত্রা মানদন্ড সীমার অনেক নিচে থাকবে। সার্বিকভাবে পরিবেশ দূষণের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বরং পরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

২.

MRT Line-5: Northern Route বা বাংলাদেশের প্রথম পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোরেলের ভাড়া কিভাবে নির্ধারণ করা হবে?

মেট্রোরেল আইন ২০১৫ এর ধারা ১৭ ও ১৮ এবং মেট্রোরেল বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ২১ ও ২২ অনুযায়ী MRT Line-5: Northern Route বা ঢাকা মহানগরীর প্রথম পূর্ব-পশ্চিম  মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। মেট্রোরেলের পরিচালনা ব্যয় ও জনসাধারণের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনাপূর্বক গঠিতব্য কমিটি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়ার হার সুপারিশ করবে। সরকার ভাড়ার হার চূড়ান্ত করবে।

৩.

MRT Line-5: Northern Route এর প্রাক্কলিত ব্যয় ও অর্থের উৎস কী?

MRT Line-5: Northern Route এর প্রাক্কলিত ব্যয় হল:

মোট                 : ৪১,২৩৮.৫৫ কোটি টাকা

প্রকল্প সহায়তা        : ২৯,১১৭.০৫ কোটি টাকা

জিওবি               : ১২,১২১.৫০ কোটি টাকা

উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা Japan International Cooperation Agency (JICA) প্রকল্প সহায়তা প্রদান করছে।

৪. MRT Line-5: Northern Route বা বাংলাদেশের প্রথম পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোরেলের মৌলিক বৈশিষ্ট্য সমূহ কী কী?

উদ্দেশ্য

:

ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নে দ্রুতগামী, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সময়-সাশ্রয়ী, বিদ্যুৎ চালিত, দূরনিয়ন্ত্রিত ও পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তন

গুরুত্ব

:

Fast Track

দৈর্ঘ্য

:

মোট      : ২০.০০ কিলোমিটার

পাতাল    : ১৩.৫০ কিলোমিটার

উড়াল    : ৬.৫০ কিলোমিটার

অবকাঠামোর ধরণ

:

উড়াল এবং পাতাল

রুট এ্যালাইনমেন্ট

:

হেমায়েতপুর - বলিয়ারপুর - বিলামালিয়া - আমিন বাজার - গাবতলী - দারুস সালাম - মিরপুর ১ - মিরপুর ১০ - মিরপুর ১৪ - কচুক্ষেত - বনানী - গুলশান ২ - নতুন বাজার - ভাটারা

স্টেশনের সংখ্যা এবং নাম

:

মোট      : ১৪ টি

পাতাল    : ০৯ টি

উড়াল    : ০৫ টি

পাতাল স্টেশনঃ গাবতলী - দারুস সালাম - মিরপুর ১ - মিরপুর ১০ - মিরপুর ১৪ - কচুক্ষেত - বনানী - গুলশান ২ - নতুন বাজার

উড়াল স্টেশনঃ হেমায়েতপুর - বলিয়ারপুর - বিলামালিয়া - আমিন বাজার - ভাটারা

মেট্রো ট্রেন সেটের সংখ্যা

:

৮ কোচ বিশিষ্ট ১৮ সেট মেট্রো ট্রেন দিয়ে পরিচালনা শুরু করা হবে। তবে ভবিষ্যতে ৪২ সেট মেট্রো ট্রেনে উন্নীত করার সুযোগ থাকবে।

কোচের যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা

:

মাঝের ৬ টি কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৯০ জন এবং ট্রেইলার কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৭৪ জন। প্রতিটি মেট্রো ট্রেনে সর্বোচ্চ ৩০৮৮ জন যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা রয়েছে। প্রতি ঘন্টায় উভয়দিকে ৫৩,২০০ যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে।

মেট্রো ট্রেনের ফ্রিকোয়েন্সি

:

৩ মিনিট ৩০ সেকেন্ড

মেট্রো ট্রেনের পরিচালন ব্যবস্থা

:

দূরনিয়ন্ত্রণ পরিচালন ব্যবস্থা বা Communication Based Train Control (CBTC) System

সর্বোচ্চ পরিচালন গতি

:

উড়াল    : ১০০ কিলোমিটার/ঘন্টা

পাতাল    : ৯০ কিলোমিটার/ঘন্টা

মেট্রো ট্র্যাকের ধরণ

:

Dual Continuous Welded Rail

গেজ

:

স্ট্যান্ডার্ড গেজ (১৪৩৫ মিলিমিটার)

যাতায়াতের সময়

:

হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা (পূর্বমুখী)    : ৩২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড

ভাটারা থেকে হেমায়েতপুর (পশ্চিমমুখী) : ৩০ মিনিট ২৬ সেকেন্ড

সমাপ্তির নির্ধারিত তারিখ

:

 ৩১ ডিসেম্বর ২০২৮ খ্রিস্টাব্দ

৫.

MRT Line-5: Northern Route প্রকল্পের অগ্রগতি কী?

২০২৮ সালের মধ্যে হেমায়েতপুর হতে ভাটারা পর্যন্ত পাতাল ও উড়াল সমন্বয়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ (পাতাল ১৩.৫০ কিলোমিটার এবং উড়াল ৬.৫০ কিলোমিটার) ও ১৪টি স্টেশন (পাতাল ৯টি এবং উড়াল ৫টি) বিশিষ্ট মেট্রোরেল নির্মাণের নিমিত্ত Dhaka Mass Rapid Transit Development Project (Line-5): Northern Route এর Basic Design ও হেমায়েতপুর ডিপোর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। Detailed Design ও দরপত্র দলিল প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।  MRT Line-5: Northern Route এর নির্মাণ কাজ মোট ১০টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তন্মধ্যে হেমায়েতপুর ডিপোর ভূমি উন্নয়ন সংক্রান্ত প্যাকেজ CP-01 এর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে গত ২৩ মে ২০২৩ তারিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। হেমায়েতপুর ডিপোর ভূমি উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বাস্তব অগ্রগতি ২৯.০০%। অন্যান্য প্যাকেজের দরপত্র বিভিন্ন পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন আছে। হেমায়েতপুর হতে ভাটারা পর্যন্ত ১৪টি স্টেশন এবং পাতাল অংশের উভয় প্রান্তে ট্রানজিশন সেকশন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে চলমান রয়েছে। 

৬.

MRT Line-5: Northern Route এর উড়াল ও পাতাল  স্টেশনগুলোর Concourse দিয়ে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাওয়া-আসা করা যাবে কী?

উড়াল ও পাতাল মেট্রোরেলের সমন্বয়ে MRT Line-5: Northern Route নির্মাণ করা হচ্ছে। ১৪ টি স্টেশনের মধ্যে ৫টি স্টেশন হবে উড়াল এবং ৯ টি পাতাল। পাতাল স্টেশনের Underground Concourse দিয়ে Underpass এর ন্যায় স্টেশনের সিঁড়ি, লিফ্‌ট এবং এস্কেলেটর ব্যবহার করে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাওয়া-আসা করা যাবে। একইভাবে উড়াল স্টেশনের সিঁড়ি, লিফ্‌ট এবং এস্কেলেটর ব্যবহার করে Concourse লেভেল দিয়ে রাস্তার এপার-ওপার যাতায়াত করা যাবে। তবে পেইড জোন এলাকায় ও প্ল্যাটফর্মে যাওয়া যাবে না। পথচারীগণ রাস্তা পারাপারের জন্য এ ব্যবস্থাকে বিদ্যমান ফুটওভার ব্রীজ/আন্ডারপাসের অতিরিক্ত সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

৭.

MRT Line-5: Northern Route পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?

MRT Line-5: Northern Route পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হেমায়েতপুর এবং ভাটারা এলাকায় দুটি রিসিভিং সাবস্টেশন থাকবে। হেমায়েতপুর রিসিভিং সাবস্টেশনে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) এর সাভার গ্রিড সাবস্টেশন হতে ১৩২ কেভি এর দুইটি পৃথক সার্কিট এবং ভাটারা রিসিভিং সাবস্টেশনে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এর বসুন্ধরা গ্রিড সাবস্টেশন হতে ১৩২ কেভি এর ২টি সার্কিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করা হবে। উভয় রিসিভিং সাবস্টেশনে ব্যাকআপ হিসেবে একটি করে অতিরিক্ত (redundant) ট্রান্সফর্মার থাকবে। ফলে মেট্রোরেল পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কোনো কারণে কোনো সময় জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া না গেলে মেট্রোরেলের Energy Storage System (ESS) হতে বিদ্যুৎ সরাবরাহ করে মেট্রো ট্রেনকে নিকটবর্তী স্টেশনে নিয়ে আসা হবে। উল্লেখ্য, Energy Storage System (ESS) মূলতঃ ব্যাটারি ব্যাকআপ সিস্টেম যা মেট্রো ট্রেনের Regenerative Braking Energy দ্বারা নিয়মিত চার্জ হতে থাকবে। MRT Line-5: Northern Route পরিচালনায় Overhead Catenary System (OCS)-এ ১৫০০ ভোল্ট ডিসি ব্যবহৃত হবে। মেট্রো ট্রেনসমূহ Pantograph এর সাহায্যে OCS হতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ গ্রহণ করবে। এছাড়াও প্রতিটি স্টেশনে ও ডিপোতে Back Up Power System হিসেবে ডিজেল জেনারেটর সেট থাকবে।

৮.

MRT Line-5: Northern Route System ও MRT Line-5: Northern Route এ যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে কী ধরণের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত আছে?

MRT Line-5: Northern Route System ও MRT Line-5: Northern Route এর যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে Communication Based Train Control (CBTC) System অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে Automatic Train Operation (ATO), Automatic Train Protection (ATP), Automatic Train Supervision (ATS) ও Moving Block System (MBS) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিরাপদে Track পরিবর্তনের জন্য Computerized Interlocking ব্যবস্থা থাকবে। মেট্রো ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপত্তার নিমিত্ত Synchronized Platform Screen Door (PSD) and Train Door এবং Internet Protocol (IP) Camera System অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আপৎকালীন মেট্রোরেলের অভ্যন্তর থেকে বাহির হওয়ার জন্য জরুরি বহির্গমন দরজা রাখা হয়েছে। মেট্রো স্টেশন, রুট এ্যালাইমেন্ট ও মেট্রো ট্রেনে অনাকাঙ্খিত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা হিসেবে স্বয়ংক্রিয় Sprinkler ও Water Hydrant সংযোজনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। Underground Station এবং ট্রেনে সকল মালামাল Fire Resistant হবে। জরুরি অবস্থায় Ventilation Shaft দিয়ে ধোঁয়া নির্গমন করা যাবে। ফায়ারম্যানগণের জন্য পৃথক প্রবেশ পথ থাকবে। সর্বোপরি, মেট্রোরেলে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র বিশেষায়িত MRT Police Force গঠনের উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন আছে।

৯.

ভাড়া ব্যতীত রাজস্ব আয়ের জন্য MRT Line-5: Northern Route এর আওতায় কী কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে?

বিভিন্ন দেশের মেট্রোরেল পরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, শুধুমাত্র ভাড়ার আয় হতে লাভজনকভাবে মেট্রোরেল পরিচালনা করা যায় না। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলো মেট্রোরেল পরিচালনার পাশাপাশি মেট্রোরেলের আন্ত:লাইন সংযোগ স্টেশন, ডিপো ও প্রধান প্রধান স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ক্রমান্বয়ে Transit Oriented Development (TOD) Hub এবং Station Plaza হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করে। মেট্রোরেলের ভাড়া জনগণের সাধ্যের মধ্যে রাখার জন্যও Transit Oriented Development (TOD) Hub এবং Station Plaza নির্মাণ করা হয়ে থাকে। এ অভিজ্ঞতা থেকে MRT Line-5: Northern Route এ প্রয়োজনীয় সংখ্যক Transit Oriented Development (TOD) Hub ও  Station Plaza নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

১০.

MRT Line-5: Northern Route নির্মাণকালীন যানজট নিরসনে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে?

MRT Line-5: Northern Route নির্মাণকালীন যানজট নিরসনে Traffic Management Plan (TMP) প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। MRT Line-6 এর ন্যায় উড়াল অংশের জন্য সড়কের মিডিয়ান বরাবর Hard Barrier দিয়ে অভ্যন্তরে ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে। এতে এ সড়কে যাতায়াতকারী যানবাহন Hard Barrier-এর পার্শ্ব দিয়ে এবং সার্ভিস রোড দিয়ে সহজেই যাতায়াত করতে পারবে।

পাতাল অংশে ৯টি স্টেশন রয়েছে, যা অত্যাধুনিক উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে (Open Cut Method) নির্মাণ করা হবে। সড়কের অর্ধেকাংশ ব্যবহার করে উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে ২০০ মিটার দীর্ঘ স্টেশন নির্মাণের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় ০৪ (চার) মাস সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। এ সময়ের পর নির্মাণাধীন স্টেশন অংশ প্রায় ১০ ইঞ্চি পুরু স্টীল পাত দিয়ে ঢেকে দেয়া হবে। এ পাতের উপর দিয়ে অনায়াসে যানবাহন চলাচল করতে পারবে এবং অভ্যন্তরে স্টেশন নির্মাণের অবশিষ্ট কাজ চলতে থাকবে। টানেল নির্মাণে যানবাহন চলাচলে কোন প্রভাব পড়বে না।

১১.

MRT Line-5: Northern Route এর নির্মাণকাজ শুরুর পূর্বে পরিসেবা সমূহ স্থানান্তরের পরিকল্পনা কী?

MRT Line-5: Northern Route এর উড়াল রুট এ্যালাইনমেন্ট এবং স্টেশন এলাকা হতে পরিসেবা স্থানান্তরের নিমিত্ত প্রথমে Utility Identification Survey এবং তদানুসারে Utility Relocation Survey করা হয়েছে । পূর্ত কাজ শুরুর পূর্বেই Single Trench-এ পরিসেবা স্থানান্তর করা হবে। তবে টানেলের উপরিভাগ ভূ-পৃষ্ঠের নিচ দিয়ে নির্মাণ করা হবে বিধায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিসেবা স্থানান্তরের প্রয়োজন হবে না।

১২.

MRT Line-5: Northern Route এর পাতাল অংশে বায়ু চলাচলের জন্য কী ব্যবস্থা রাখা হয়েছে?

প্রত্যেকটি পাতাল স্টেশন ও পাতাল ট্রেন সম্পূর্ণভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। MRT Line-5: Northern Route এর টানেল, স্টেশন এলাকা ও ট্রেনের অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত বায়ু প্রবাহের জন্য অত্যাধুনিক ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা রাখা হবে।

১৩.

MRT Line-5: Northern Route এর ভূগর্ভস্থ অংশে জলমগ্নতা বা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কোন আশঙ্কা আছে কি?

MRT Line-5: Northern Route এর পাতাল স্টেশনগুলোর প্রবেশ ও বহির্গমন পথে সর্বোচ্চ বন্যার স্তর (Highest Flood Level) এর উপরে বিশেষ প্রতিরোধক দেয়াল থাকবে। ফলে মেট্রোরেল এর ভূগর্ভস্থ অংশে পানি প্রবেশ করার সুযোগ নেই। উপরন্তু, ভূগর্ভস্থ অংশে কোন কারণে অতিরিক্ত পানি জমা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানির পাম্প চালু হয়ে পানি নিষ্কাশন করে দিবে। এতে ভূগর্ভস্থ অংশে জলমগ্নতা বা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই।

১৪.

MRT Line-5: Northern Route এর টানেল নির্মাণকালে উত্তোলনকৃত বিপুল পরিমাণ মাটির ব্যবস্থাপনা কিভাবে করা হবে?

উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে প্রতিটি পাতাল স্টেশন নির্মাণকালে উত্তোলনকৃত মাটির পরিমাণ হবে আনুমানিক ১,৬০,০০০ মেট্রিক টন এবং মোট ৯টি পাতাল স্টেশন নির্মাণকালে মোট উত্তোলনকৃত মাটির পরিমাণ হবে প্রায় ১৫,০০,০০০ মেট্রিক টন। একইসাথে টানেলের জন্য প্রতি কিলোমিটারে প্রায় ৪২,০০০ মেট্রিক টন হিসেবে মোট উত্তোলনকৃত মাটির পরিমাণ হবে প্রায় ৫,৭০,০০০ মেট্রিক টন। এ বিপুল পরিমাণ মাটি প্রথমে সরকারি মহাসড়ক, সড়ক, বাঁধ ইত্যাদি নির্মাণে ব্যবহার করা হবে। অন্যান্য এমআরটি লাইনসমূহের ডিপোর ভূমি উন্নয়নেও এ মাটি ব্যবহার করা হবে। অতঃপর কোন মাটি অবশিষ্ট থাকলে উন্মুক্ত দরপত্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। 

১৫.

MRT Line-5: Northern Route এর টানেল ও স্টেশন নির্মাণকালে পার্শ্ববর্তী ও উপরস্থ স্থাপনার উপর কোন প্রভাব পড়বে কি?

MRT Line-5: Northern Route এর টানেল মূল সড়ক বরাবর মাটির ৫৬ ফুট থেকে ১৫৩ ফুট গভীরতায় নির্মাণ করা হবে। বর্তমান সময়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির Tunnel Boring Machine (TBM) ব্যবহার করে টানেল নির্মাণ করা হবে। এতে সড়ক পার্শ্ববর্তী ও উপরস্থ স্থাপনায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

১৬.

MRT Line-5: Northern Route এর টানেল মাটির উপরিভাগ থেকে কতটুকু নিচে দিয়ে নির্মাণ করা হবে?

MRT Line-5: Northern Route এর টানেল মাটির উপরিভাগ থেকে ৫৬ ফুট হতে ১৫৩ ফুট গভীরতায় নির্মাণ করা হবে।

১৭.

MRT Line-5: Northern Route এর  সঙ্গে অন্যান্য MRT Line এর Interchange কোন কোন স্টেশনে থাকবে?

নির্মিতব্য MRT Line-5: Northern Route এর সঙ্গে-

১। এমআরটি লাইন-৫: নর্দার্ন রুটের গাবতলী স্টেশনে এমআরটি লাইন-৫: সাউদার্ন রুট এবং এমআরটি লাইন-২ এর সঙ্গে Interchange থাকবে;

২। এমআরটি লাইন-৫: নর্দার্ন রুটের মিরপুর ১০ স্টেশনে এমআরটি লাইন-৬ এর সঙ্গে Interchange থাকবে এবং

৩। এমআরটি লাইন-৫: নর্দার্ন রুটের নতুন বাজার স্টেশনে এমআরটি লাইন-১ এর সঙ্গে Interchange থাকবে।