Wellcome to National Portal
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫

Frequently Asked Questions (FAQs) of MRT Line-1

হালনাগাদের তারিখ: ২০ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রম

জিজ্ঞাস্য

উত্তর

১.

MRT Line-1 বা বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমূহ কী কী?

উদ্দেশ্য      : ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নে দ্রুতগামী, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সময়-সাশ্রয়ী, বিদ্যুৎ চালিত, দূরনিয়ন্ত্রিত ও পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তন

গুরুত্ব     : Fast Track

দৈর্ঘ্য     :  মোট: ৩১.২৪১ কিলোমিটার

পাতাল   :  ১৯.৮৭২ কিলোমিটার

উড়াল    :  ১১.৩৬৯ কিলোমিটার

অবকাঠামোর ধরন  : পাতাল এবং উড়াল

রুটের সংখ্যা ও নাম :  MRT Line-1 ০২ (দুই)টি রুটে বিভক্ত। রুট দুটি হল :

বিমানবন্দর রুট এবং পূর্বাচল রুট

বিমানবন্দর রুট হবে পাতাল এবং পূর্বাচল রুট উড়াল হিসেবে নির্মিত হবে।

বিমানবন্দর রুটের এ্যালাইনমেন্ট :

বিমানবন্দর - বিমানবন্দর টার্মিনাল ৩ - খিলক্ষেত - নদ্দা - নতুনবাজার - উত্তর বাড্ডা - বাড্ডা - আফতাব নগর - রামপুরা - মালিবাগ - রাজারবাগ - কমলাপুর

পূর্বাচল রুটের এ্যালাইনমেন্ট:

নতুনবাজার - নদ্দা - জোয়ার সাহারা - বোয়ালিয়া - মস্তুল - পূর্বাচল ক্রিকেট স্টেডিয়াম - পূর্বাচল সেন্টার - পূর্বাচল পূর্ব - পূর্বাচল টার্মিনাল - পিতলগঞ্জ ডিপো

স্টেশনের সংখ্যা     :  মোট: ২১ টি

পাতাল   : ১২ টি

উড়াল    : ০৭ টি *

* পূর্বাচল রুটের নতুন বাজার ও নদ্দা স্টেশন ০২ (দুই) টি বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে পাতালে নির্মিত হবে।

মেট্রো ট্রেন সেটের সংখ্যাঃ

প্রথমে ৮ কোচ বিশিষ্ট ২৫ সেট মেট্রো ট্রেন দিয়ে পরিচালনা শুরু করা হবে। তবে ভবিষ্যতে ৩৬ সেট মেট্রো ট্রেনে উন্নীত করার সুযোগ থাকবে।

কোচের যাত্রী পরিবহন সক্ষমতাঃ

মাঝের ৬টি কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৯০ জন এবং ট্রেইলার কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৭৪ জন। প্রতিটি মেট্রো ট্রেনে সর্বোচ্চ ৩০৮৮ জন যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা রয়েছে।

মেট্রো ট্রেনের ফ্রিকোয়েন্সিঃ সর্বনিম্ন ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড

 

মেট্রো ট্রেনের পরিচালন ব্যবস্থা: Communication Based Train Control (CBTC) System

সর্বোচ্চ পরিচালন গতি-

পাতাল                   : ৮০ কিলোমিটার/ঘন্টা

উড়াল                     : ১০০ কিলোমিটার/ঘন্টা

মেট্রো ট্র্যাকের ধরণ   : Dual Continuous Welded Rail

গেজ                     : স্ট্যান্ডার্ড গেজ (১৪৩৫ মিলিমিটার)

যাতায়াতের সময়-

বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১২ টি স্টেশনে থেমে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড।

নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত ৯টি স্টেশনে থেমে ২০ মিনিট ৩০ সেকেন্ড।

কমলাপুর থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনে থেমে ৩৫ মিনিটে ৩০ সেকেন্ড।

নির্মাণ কাজের উদ্বোধন         : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

সমাপ্তির নির্ধারিত তারিখ       : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৬

২.

MRT Line-1 বা বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের স্টেশনসমূহ কি কি?

স্টেশনসমূহঃ

বিমানবন্দর রুট: 

বিমানবন্দর - বিমানবন্দর টার্মিনাল ৩ - খিলক্ষেত - নদ্দা - নতুন বাজার - উত্তর বাড্ডা - বাড্ডা - আফতাব নগর - রামপুরা - মালিবাগ - রাজারবাগ – কমলাপুর

পূর্বাচল রুট: 

নতুন বাজার - নদ্দা - জোয়ার সাহারা - বোয়ালিয়া - মস্তুল - পূর্বাচল ক্রিকেট স্টেডিয়াম - পূর্বাচল সেন্টার - পূর্বাচল পূর্ব - পূর্বাচল টার্মিনাল

৩.

ঢাকায় পাতাল রেল কতটা উপযোগী?

 

অতি ঘনবসতিপূর্ণ এবং নিত্যদিনের অত্যধিক যানজট কবলিত ঢাকা শহরে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার স্বার্থে পাতাল রেল নির্মাণ পরিকল্পনা প্রণয়ন একটি সময়োপযোগী উপযুক্ত সিদ্ধান্ত। এমআরটি লাইন-১ এর রুট এলাইনমেন্ট ২০১৫ সালে প্রণীত আরএসটিপি (রিভাইজড স্ট্রাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান)-তে প্রস্তাব করা হয় এবং সেই মোতাবেক সম্ভাব্যতা যাচাই ২০১৭-১৮ সালে সম্পন্ন হয়। জাইকা কর্তৃক প্রণীত ঐ সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় আন্তর্জাতিক মান ও রীতিনীতি, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং ঢাকায় অবকাঠামো নির্মাণ উপযোগিতার বিষয়গুলো বিবেচনা করে এমআরটি লাইন-১ এর উড়াল এবং পাতাল পথ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

যে কোন বড় মাপের নির্মাণ কাজের সময় কিছু না কিছু ঝুঁকি থাকেই, যা এড়ানো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। তবে এমআরটি লাইন-১ এর ক্ষেত্রে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত সকল পক্ষের সক্রিয় এবং আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকবে সেই সব ঝুঁকির কারণে কোন অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা না হয় সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা ।

টানেল নির্মাণের লক্ষ্যে খনন কাজ করা হয় টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) দ্বারা। ঢাকার মাটির গুণাগুণের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আর্থ প্রেসার ব্যালেন্সড (ইপিবি) টাইপ টিবিএম ব্যবহার করা হবে। ইপিবি টাইপ টিবিএম এর সুবিধা হলো, মাটির ঐ স্তরের বিদ্যমান চাপের সমান ও বিপরীত মুখী চাপ প্রয়োগ করে খনন কাজ চালিয়ে যাওয়া হয়। ফলে খনন কাজের সময় নির্মিয়মান সুড়ঙ্গের আশেপাশের মাটিতে নতুন করে কোন চাপ সৃষ্টি হয়না। কাজে কাজেই উপরিস্থিত মাটি দেবে যাবার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। এরপরেও সুড়ঙ্গ নির্মাণের সময় ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত সড়কের কোন অংশ যদি সামান্য দেবে যায় এবং এর ফলে সড়কের উপরিভাগের পেভমেন্ট কোথাও নষ্ট হয়, তবে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত কন্ট্রাক্টর ভেঙে যাওয়া পেভমেন্ট মেরামত করে দেবেন, এভাবেই চুক্তি দলিলে শর্ত সন্নিবেশিত থাকবে।

এমআরটি লাইন-১ এর পাতাল রেলের এলাইনমেন্টের দুপাশে অনেক স্থানে বিভিন্ন উচ্চতার প্রচুর ইমারত রয়েছে। টানেল নির্মাণের সময় যেন ঐ সব ভবনের কোন ক্ষতি না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। একথা ঠিক, ঢাকার মাটি নরম। ঢাকার কোমল মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা করে সেই নিরিখে টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) ডিজাইন করা হয়েছে। যেমনটা পূর্বেই বলা হয়েছে, আর্থ প্রেসার ব্যালেন্সড (ইপিবি) টাইপ টিবিএম দ্বারা মাটি খনন করে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, ঢাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর (গ্রাউন্ড ওয়াটার টেবিল) অনেক গভীরে থাকায় ঢাকার মাটি টানেল নির্মাণের উপযোগী। সুড়ঙ্গ নির্মাণের সময় চলমান টিবিএম দ্বারা খননকৃত মাটির নমূনা সংগ্রহ করে অনবরত পরীক্ষা করা হবে এবং সেই মোতাবেক টিবিএম দ্বারা খনন কাজ সমন্বয় করা হবে। তদুপরি টিবিএম যে পথে এগিয়ে যাবে, সেই পথে দুপাশের ভবনগুলোর নিচের দিকে সেন্সর লাগানো হবে। কোথাও ভূগর্ভস্থ মাটির স্তর দেবে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে ভবনে লাগানো সেন্সরগুলো সিগন্যাল দিয়ে তা আগাম জানিয়ে দেবে। সেই মোতাবেক মাটি উপযোগী করা সহ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া হবে যেন টিবিএম গমন পথে কোন ভবন দেবে না যায়।  এরপরেও যদি কোন স্থাপনার ক্ষতি হয় তবে প্রকল্প থেকে তা মেরামত ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টিবিএম প্রতিদিনে যে দৈর্ঘ্যে বোরিং করবে (১০-১২ মিটার) সে পরিমাণ দৈর্ঘ্যে রিং সেগমেন্ট সাথে সাথে বসানো হবে, ফলে পেভমেন্ট দেবে যাওয়া বা কোন প্রকার দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা নেই বললেই চলে।

তূলনামূলকভাবে উড়াল পথে মেট্রো রেলের খরচের তুলনায় পাতাল পথে মেট্রোরেল নির্মাণ ব্যয় বেশি। কিন্তু অপরদিকে পাতাল রেল থেকে প্রাপ্ত সুবিধাও কিন্তু বহুবিধ। বিশেষ করে অতিরিক্ত নগরায়নের ফলে সৃষ্ট শহরের ব্যস্ত ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা পাতাল রেল নির্মাণের জন্য অধিক উপযোগী।

 

৪.

বন্যার কারণে পাতাল রেলে যেন পানি প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য কি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে?

বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা বা বন্যার কারণে পাতাল রেলে যেন পানি প্রবেশ করতে না পারে, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে প্রতিটি স্টেশনের প্রবেশ ও নির্গমন পথগুলোর মুখ সম্ভাব্য বন্যা পানির সর্বোচ্চ স্তরের উপরে রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। এরপরেও পানি সেচনের আবশ্যকতা দেখা দিলে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে পানির পাম্প থাকবে। অধিকন্তু প্রতিটি ভূগর্ভস্থ স্টেশনে ফ্লাড-গ্যেট নির্মাণ করা হবে।

৫.

ভূমিকম্পের সময় পাতাল রেলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে কি?

পাতাল রেলের একটি বাড়তি সুবিধা হলো, ভূমিকম্পে এর ক্ষতি হয় না। এর কারণ টানেল মাটির অনেক গভীরে চারিদিকের মৃত্তিকা দারা আষ্ট্রেপৃষ্ঠে আবদ্ধ থাকে। তাই ভূমিকম্পের সময় ভূপৃষ্ঠে মাটির কম্পন হলেও টানেল ও আশপাশের মাটি একই ছন্দে নড়ে। ফলে টানেলের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না এবং পাতাল রেল পথের কোন ক্ষতি হয়না।

৬.

মেট্রোরেলের পূর্বাচল রুট নির্মাণকালে পূর্বাচলের প্রধান সড়কের পার্শ্ববর্তী খালের কোন ক্ষতি হবে কিনা?

 

ঢাকার প্রথম পাতাল মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-১) এর মূল নির্মাণকাজ অর্থাৎ টানেল এবং পাতাল স্টেশনসমূহ  নির্মাণকল্পে মোট চারটি আন্ডারগ্রাউন্ড কন্ট্র্যাক্ট প্যাকেজ এর দরপত্র ইতোমধ্যে আহবান করা হয়েছে। কুড়িল ট্রানজিশন থেকে নদ্দা স্টেশন হয়ে নতুনবাজার পর্যন্ত টানেল এবং পাতাল স্টেশন নির্মাণের জন্যে নির্ধারিত কন্ট্র্যাক্ট প্যাকেজ সিপি-০৫ এর জন্যে আবশ্যকীয় অস্থায়ী কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড এর সংস্থান পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে কুড়িল এ অবস্থিত পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে-সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের খালের উপর স্টিলের পোস্ট বসিয়ে ধাতব পাটাতন স্থাপন করে নির্মাণ পরিকল্পনা রাখা হয়েছে যা নির্মাণ শেষে সম্পূর্ণ পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়া হবে। উল্লেখ্য ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ২০২১ সালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে এবং এমআরটি লাইন-১ নির্মাণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের ২০২৪ সালে নবায়নকৃত পরিবেশগত ছাড়পত্র রয়েছে। ঝুকিমুক্ত ও পরিবেশসম্মত উপায়ে নির্মাণ কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে সচেষ্ট। এ বিষয়ে উন্নত দেশের উপযুক্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একাধিক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে ঢাকার পাতাল রেল নির্মাণ কাজে নিয়োগ দেওয়া হবে।

৭.

উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে MRT Line-1 বা বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে কী ভূমিকা রাখবে?

MRT Line-1 বা বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলে ২০২৬ সালে প্রতিদিন ৮ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। প্রতিটি একমুখী মেট্রো ট্রেন প্রতিবারে ১২ টি স্টেশনে থেমে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, ৯টি স্টেশনে থেমে ২০ মিনিটে ৩০ সেকেন্ডে নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত এবং ১৬টি স্টেশনে থেমে ৩৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে কমলাপুর থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত যাতায়ত করবে। ট্রেনটির সর্বোচ্চ যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৩০৮৮ জন। এতে অল্প সময়ে অধিক সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় হ্রাস পাবে। জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানীর ব্যবহার কম হবে। ঢাকা মহানগরীর জীবনযাত্রায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ হবে। যানজট বহুলাংশে হ্রাস পাবে। মহানগরবাসীর কর্মঘন্টা সাশ্রয় হবে। সাশ্রয়কৃত কর্মঘন্টা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে।

বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত বিধায় কোন ধরনের জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানী ব্যবহৃত হবে না। ফলে বায়ু দূষণ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। Railway Track এর নিচে Mass Spring System (MSS) থাকবে। Continuous Welded Rail (CWR) ব্যবহার করা হবে। উড়াল মেট্রোরেলের ভায়াডাক্টের উভয় পার্শ্বে শব্দ প্রতিবন্ধক দেয়াল থাকবে এবং পাতাল মেট্রোরেলের টানেল সংলগ্ন মাটি শব্দ প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করবে। ফলশ্রুতিতে মেট্রোরেলে শব্দ ও কম্পন দূষণ মাত্রা মানদন্ড সীমার অনেক নিচে থাকবে। সার্বিকভাবে পরিবেশ দূষণের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বরং পরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

৮.

MRT Line-1 এর নির্মাণকাজ শুরুর পূর্বে পরিসেবাসমূহ স্থানান্তরের অগ্রগতি কী?

MRT Line-1 এর ১২ টি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত ইউটিলিটিকে “Utility Common Corridor” স্থানান্তরকরণের জন্য অর্পিত কাজ হিসেবে বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর ২৪ ইসিবি কর্তৃক এয়ারপোর্ট, এয়ারপোর্ট টারমিনাল-৩ , খিলক্ষেত, নদ্দা ও নতুন বাজার মেট্রোস্টেশনের ইউটিলিটি স্থানান্তরের কাজ চলমান আছে। আগামী ২০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ হতে উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, আফতাব নগর মেট্রোস্টেশনের কাজ শুরু করা হবে। উক্ত স্টেশনসমূহের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) এর সাথে সমন্বয় অব্যাহত আছে। অন্যান্য স্টেশনের ইউটিলিটি স্থানান্তরকরনের কাজ মূল প্যাকেজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইউটিলিটি স্থানান্তরের কাজ সম্পাদনের পরিকল্পনা রয়েছে যার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

৯.

MRT Line-1 বা বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের ভাড়া কিভাবে নির্ধারণ করা হবে?

মেট্রোরেল আইন ২০১৫ এর ধারা ১৭ ও ১৮ এবং মেট্রোরেল বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ২১ ও ২২ অনুযায়ী এমআরটি লাইন-১ বা বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। মেট্রোরেলের পরিচালনা ব্যয় ও জনসাধারণের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনাপূর্বক গঠিতব্য কমিটি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়ার হার সুপারিশ করবে। সরকার ভাড়ার হার চূড়ান্ত করবে।

১০.

MRT Line-1 এর প্রাক্কলিত ব্যয় ও অর্থের উৎস কী?

MRT Line-1 এর প্রাক্কলিত ব্যয় হল:

প্রকল্প সহায়তা: ৩৯,৪৫০.৩২ কোটি টাকা

জিওবি: ১৩,১১১.১১ কোটি টাকা

মোট: ৫২,৫৬১.৪৩ কোটি টাকা

উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা Japan International Cooperation Agency (JICA) প্রকল্প সহায়তা প্রদান করছে।

১১.

MRT Line-1 এর পাতাল ও উড়াল স্টেশনগুলোর Concourse দিয়ে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাওয়া-আসা করা যাবে কী? 

পাতাল ও উড়াল মেট্রোরেলের সমন্বয়ে MRT Line-1 নির্মাণ করা হচ্ছে। বিমানবন্দর রুটের ১২ টি স্টেশন হবে পাতাল। পাতাল স্টেশনের Underground Concourse দিয়ে Underpass এর ন্যায় স্টেশনের সিঁড়ি, লিফ্‌ট এবং এস্কেলেটর ব্যবহার করে রাস্তার এপার থেকে ওপারে আসা যাওয়া করা যাবে। একইভাবে উড়াল স্টেশনের সিঁড়ি, লিফ্‌ট এবং এস্কেলেটর ব্যবহার করে Concourse লেভেল দিয়ে রাস্তার এপার-ওপার যাতায়াত করা যাবে। তবে পেইড জোন এলাকায় ও প্লাটফর্মে যাওয়া যাবে না। পথচারীগণ রাস্তা পারাপারের জন্য এ ব্যবস্থাকে বিদ্যমান ফুট ওভারব্রীজ/আন্ডারপাসের অতিরিক্ত সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

১২.

MRT Line-1 পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?

MRT Line-1 পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হাতিরঝিল এবং পূর্বাচল এলাকায় দুটি রিসিভিং সাবস্টেশন থাকবে। হাতিরঝিল রিসিভিং  সাবস্টেশনে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) এর রামপুরা গ্রীড সাবস্টেশন হতে ১৩২ কেভি এর দুইটি পৃথক সার্কিট এবং পূর্বাচল রিসিভিং সাবস্টেশনে পিজিসিবি এর পূর্বাচল গ্রীড সাবস্টেশন হতে ১৩২ কেভি এর ২টি সার্কিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করা হবে। উভয় রিসিভিং সাবস্টেশনে ব্যাকআপ হিসেবে একটি করে অতিরিক্ত (redundant) ট্রান্সফর্মার থাকবে। ফলে মেট্রোরেল পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কোনো কারণে কোনো সময় জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া না গেলে মেট্রোরেলের Energy Storage System (ESS) হতে বিদ্যুৎ সরাবরাহ করে মেট্রো ট্রেনকে নিকটবর্তী স্টেশনে নিয়ে আসা হবে। উল্লেখ্য, Energy Storage System (ESS) মূলতঃ ব্যাটারি ব্যাকআপ সিস্টেম যা মেট্রো ট্রেনের Regenerative Braking Energy দ্বারা নিয়মিত চার্জ হতে থাকবে। MRT Line-1 পরিচালনায় Overhead Catenary System (OCS)-এ ১৫০০ ভোল্ট ডিসি ব্যবহৃত হবে। মেট্রো ট্রেনসমূহ Pantograph এর সাহায্যে OCS হতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ গ্রহণ করবে। এছাড়াও প্রতিটি স্টেশনে ও ডিপোতে Back Up Power System হিসেবে ডিজেল জেনারেটর সেট থাকবে।

১৩.

MRT Line-1 System ও MRT Line-1 এ যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে কী ধরনের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত আছে?

MRT Line-1 System ও MRT Line-1 এর যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে Communication Based Train Control (CBTC) System অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে Automatic Train Operation (ATO), Automatic Train Protection (ATP), Automatic Train Supervision (ATS) ও Moving Block System (MBS) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিরাপদে Track পরিবর্তনের জন্য Computerized Interlocking ব্যবস্থা থাকবে। মেট্রো ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপত্তার নিমিত্ত Synchronized Platform Screen Door (PSD) and Train Door এবং Internet Protocol (IP) Camera System অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আপৎকালীন মেট্রোরেলের অভ্যন্তর থেকে বাহির হওয়ার জন্য জরুরি বহির্গমন দরজা রাখা হয়েছে। মেট্রো স্টেশন, রুট এ্যালাইমেন্ট ও মেট্রো ট্রেনে অনাকাঙ্খিত অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা হিসেবে স্বয়ংক্রিয় Sprinkler ও Water Hydrant সংযোজনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। Underground Station এবং ট্রেনে সকল মালামাল Fire Resistant হবে। জরুরি অবস্থায় Ventilation Shaft দিয়ে ধোঁয়া নির্গমন করা যাবে। ফায়ারম্যানগণের জন্য পৃথক প্রবেশ পথ থাকবে। সর্বোপরি, মেট্রোরেলে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র বিশেষায়িত MRT Police Force গঠনের উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন আছে।

১৪.

ভাড়া ব্যতীত রাজস্ব আয়ের জন্য MRT Line-1 এর আওতায় কী কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে?

বিভিন্ন দেশের মেট্রোরেল পরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, শুধুমাত্র ভাড়ার আয় হতে লাভজনকভাবে মেট্রোরেল পরিচালনা করা যায় না। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলো মেট্রোরেল পরিচালনার পাশাপাশি মেট্রোরেলের আন্ত:লাইন সংযোগ স্টেশন, ডিপো ও প্রধান প্রধান স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ক্রমান্বয়ে Transit Oriented Development (TOD) Hub এবং Station Plaza হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করে। মেট্রোরেলের ভাড়া জনগণের সাধ্যের মধ্যে রাখার জন্যও Transit Oriented Development (TOD) Hub এবং Station Plaza নির্মাণ করা হয়ে থাকে। এ অভিজ্ঞতা থেকে MRT Line-1 এ প্রয়োজনীয় সংখ্যক Transit Oriented Development (TOD) Hub ও  Station Plaza নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

১৫.

MRT Line-1 এর পূর্বাচল রুট হতে বিমানবন্দর রুটে অথবা বিপরীতক্রমে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কি?

MRT Line-1 এর নতুন বাজার ও নদ্দা স্টেশনদ্বয় বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে পাতাল নির্মিত হবে। নতুন বাজার স্টেশনে Inter-change থাকবে। এ Inter-change ব্যবহার করে বিমানবন্দর রুট থেকে পূর্বাচল রুটে অথবা বিপরীতক্রমে যাওয়া যাবে।

১৬.

MRT Line-1 এর সঙ্গে অন্যান্য MRT Line এর Interchange কোন কোন স্টেশনে থাকবে?

MRT Line-1 এর সঙ্গে কমলাপুরে MRT Line-6, MRT Line-2 এবং MRT Line-4 এর Interchange থাকবে। নতুনবাজারে MRT Line-5: Northern Route ও MRT Line-1 এর পূর্বাচল রুট এর Interchange থাকবে। MRT Line-1 এর আফাতব নগর ও MRT Line-5: Southern Route এর আফতাব নগর স্টেশনে Interchange থাকবে। সর্বোপরি বিমানবন্দরে BRT Line-3 এর সঙ্গে MRT Line-1 এর Interchange থাকবে।

১৭.

MRT Line-1 নির্মাণকালীন যানজট নিরসনে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে?

MRT Line-1 নির্মাণকালীন যানজট নিরসনে Traffic Management Plan (TMP) প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পূর্বাচল রুট ৩০০ ফিট সড়কের মিডিয়ান দিয়ে উড়াল নির্মিত হবে। এ সড়কের উভয় পার্শ্বে সার্ভিস রোড রয়েছে। MRT Line-6 এর ন্যায় সড়কের মিডিয়ান বরাবর Hard Barrier দিয়ে অভ্যন্তরে ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে। এতে এ সড়কে যাতায়াতকারী যানবাহন Hard Barrier-এর পার্শ্ব দিয়ে এবং সার্ভিস রোড দিয়ে সহজেই যাতায়াত করতে পারবে।

কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিমানবন্দর রুট পাতালে নির্মাণ করা হবে। এতে ১২টি স্টেশন রয়েছে, যা অত্যাধুনিক উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে (Open Cut Method) নির্মাণ করা হবে। সড়কের অর্ধেকাংশ ব্যবহার করে উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে ২০০ মিটার দীর্ঘ স্টেশন নির্মাণের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় ০৪(চার) মাস সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। এ সময়ের পর নির্মাণাধীন স্টেশন অংশ প্রায় ১০ ইঞ্চি পুরু স্টীল পাত দিয়ে ঢেকে দেয়া হবে। এ পাতের উপর দিয়ে অনায়াসে যানবাহন চলাচল করতে পারবে এবং অভ্যন্তরে স্টেশন নির্মাণের অবশিষ্ট কাজ চলতে থাকবে। টানেল নির্মাণে যানবাহন চলাচলে কোন প্রভাব পড়বে না।

১৮.

MRT Line-1 এর পাতাল অংশে বায়ু চলাচলের জন্য কী ব্যবস্থা রাখা হয়েছে?

প্রত্যেকটি পাতাল স্টেশন ও পাতাল ট্রেন সম্পূর্ণভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। MRT Line-1 এর টানেল, স্টেশন এলাকা ও ট্রেনের অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত বায়ু প্রবাহের জন্য অত্যাধুনিক ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা রাখা হবে।

১৯.

MRT Line-1 এর ভূগর্ভস্থ অংশে জলমগ্নতা বা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কোন আশঙ্কা আছে কি?

MRT Line-1 এর স্টেশনগুলোর প্রবেশ ও বহির্গমন পথে সর্বোচ্চ বন্যার স্তর (Highest Flood Level) এর উপরে বিশেষ প্রতিরোধক দেয়াল থাকবে। ফলে মেট্রোরেল এর ভূগর্ভস্থ অংশে পানি প্রবেশ করার সুযোগ নেই। উপরন্তু, ভূগর্ভস্থ অংশে কোন কারণে অতিরিক্ত পানি জমা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানির পাম্প চালু হয়ে পানি নিষ্কাশন করে দিবে। এতে ভূগর্ভস্থ অংশে জলমগ্নতা বা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই।

২০.

MRT Line-1 এর টানেল নির্মাণকালে উত্তোলনকৃত বিপুল পরিমান মাটির ব্যবস্থাপনা কিভাবে করা হবে?

উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে প্রতিটি পাতাল স্টেশন নির্মাণকালে উত্তোলনকৃত মাটির পরিমান হবে গড়ে প্রায় ২,২৭,০০০ ঘনমিটার এবং প্রতি কিলোমিটার টানেল নির্মাণকালে উত্তোলনকৃত মাটির পরিমান হবে গড়ে প্রায় ৪৬,০০০ ঘনমিটার। এ বিপুল পরিমান মাটি প্রথমে সরকারি মহাসড়ক, সড়ক, বাঁধ ইত্যাদি নির্মাণে ব্যবহার করা হবে। অন্যান্য এমআরটি লাইনসমূহের ডিপোর ভূমি উন্নয়নেও এ মাটি ব্যবহার করা হবে। অতঃপর কোন মাটি অবশিষ্ট থাকলে উন্মুক্ত দরপত্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। 

২১.

MRT Line-1 এর বিমানবন্দর রুট পাতাল এবং পূর্বাচল রুট উড়াল নির্মাণের যৌক্তিকতা কী?

MRT Line-6 নির্মাণের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, যে সকল এলাকা ইতোমধ্যে পরিনত নগরীতে পরিনত হয়েছে এবং ট্রাফিক ঘনত্ব বেশি সে সকল এলাকায় উড়াল মেট্রোরেল সড়কের মিডিয়ান বরাবর নির্মাণকালে জনদুর্ভোগ বেশি হয়। পক্ষান্তরে, পরিনত নগরীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ট্রাফিক ঘনত্ব ও জনবসতি কম হওয়ায় উড়াল মেট্রোরেল নির্মাণকালে জনদুর্ভোগ নেই বললেই চলে। এ প্রেক্ষাপটে বিমানবন্দর রুট পাতাল এবং পূর্বাচল রুট উড়াল হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে।

 

২২.

MRT Line-1 এর টানেল ও স্টেশন নির্মাণকালে পার্শ্ববর্তী স্থাপনার উপর কোন প্রভাব পড়বে কি?

MRT Line-1 এর বিমানবন্দর রুটের টানেল মূল সড়ক বরাবর সাধারনত মাটির ১০ মিটার গভীরতায় নির্মাণ করা হবে। Tunnel Boring Machine (TBM) ব্যবহার করে টানেল নির্মাণ করা হবে। এতে সড়ক পার্শ্ববর্তী স্থাপনা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

২৩.

MRT Line-1 এর টানেল মাটির উপরিভাগ থেকে কতটুকু নিচে দিয়ে নির্মাণ করা হবে?

MRT Line-1 এর বিমানবন্দর রুটের পাশাপাশি টানেল মাটির উপরিভাগ থেকে কম-বেশি ১০ মিটার গভীরতায় নির্মাণ করা হবে। তবে কমলাপুর হতে রামপুরা পর্যন্ত এলাকায় সড়কের প্রশস্থতা কম থাকায় উপর-নিচ পদ্ধতিতে মাটির উপরিভাগ থেকে কম-বেশি ৩০ মিটার গভীরতায় টানেল নির্মাণ করা হবে।