জনাব এম, এ, এন, ছিদ্দিক
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)
জনাব এম, এ, এন, ছিদ্দিক গত ২৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখ শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ঢাকা মেট্রোরেল এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান। এই দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে জনাব এম, এ, এন, ছিদ্দিক গত ১৬ নভেম্বর ২০১১ থেকে গত ১১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখ পর্যন্ত সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। তাঁর রয়েছে সুদীর্ঘ বর্ণাঢ্য কর্মজীবন। দীর্ঘ চাকুরি জীবনে তিনি মাঠ প্রশাসনে ও সচিবালয়ে কাজ করেছেন। তিনি সৌদি আরব এর জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ মিশনেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়ে বাংলাদেশের প্রথম উড়াল ও পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশের মেট্রোম্যান হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।
জনাব এম, এ, এন, ছিদ্দিক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য হিসেবে মাঠ পর্যায়ে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এবং বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঠ প্রশাসনে দায়িত্ব পালনকালে সুশাসন ও উন্নয়ন কার্যাদির বাস্তবতা সম্পর্কে তিনি সম্যক অবহিত হন। জেলা প্রশাসক, শেরপুর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি কেন্দ্রীয়ভাবে প্রণীত একই প্রশ্নের ভিত্তিতে শেরপুর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি প্রবর্তন করেন, যা পরবর্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হিসেবে সরকার চালু করে। শেরপুর জেলায় তিনি সরকারের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অংশ হিসেবে স্যানিটেশন ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি সাধন করেন। শেরপুরের জেলা প্রশাসক থাকাকালীন তিনি জেলার কৃষকদের চরাঞ্চলের অনাবাদী জমিতে অপ্রচলিত শস্য চাষে উদ্বুদ্ধ করে সফল হন। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি এই বিভাগের প্রতিটি উপজেলায় জনগণের ভোগান্তি লাঘবে একটি করে সুতীব্র সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ নেন এবং পরিপূরকভাবে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সম্ভাবনার ক্ষেত্র চিহ্নিত করে তা বিকাশের প্রয়াস গ্রহণ করেন। এই কর্মযজ্ঞের অংশ হিসেবে তিনি রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাত্রয়ের পাহাড়ি এলাকায় ফলমূল চাষে স্থানীয় জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করেন, যা এখন এই এলাকাসমূহের প্রধান অর্থকরী ফসল। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলায় অনাবাদী জমিতে চাষীদের সয়াবিন চাষে উদ্বুদ্ধ করেন। চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলায় সরকারি সেবা অনলাইনে প্রদানের নিমিত্ত জেলা তথ্য বাতায়ন ব্যবস্থা প্রবর্তণে মুখ্য ভূমিকা রাখেন। চট্টগ্রাম জেলার অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠিকে মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে বহুমুখি উদ্যোগ গ্রহণ করনে।
জনাব এম, এ, এন, ছিদ্দিক সুদীর্ঘ কর্মজীবনে মাঠ প্রশাসনের বাহিরে বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড (ঢাকা শেরাটন হোটেলের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান)-এর কোম্পানি সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই সময় তিনি ঢাকা শেরাটন হোটেলের দীর্ঘ প্রতিক্ষিত অসম্পন্ন সম্প্রসারণ কাজ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেন। সহকারী হজ্ব অফিসার হিসেবে জেদ্দা বাংলাদেশ মিশনে দায়িত্ব পালনকালে তিনি হজ্ব ব্যবস্থাপনায় যুগপোযোগী পরিবর্তন এনে হাজীদের পবিত্র মক্কা ও মদিনায় অবস্থান কালে প্রদেয় সরকারি সেবার মানে প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেন। সেকেন্ডারী এডুকেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এসইডিপি)-এর প্রকল্প পরিচালক হিসেবে তিনি সৃজনশীল প্রশ্নপত্র প্রবর্তণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ মাদক ব্যবসা রোধকল্পে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মত ব্যাপকভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু করেন।
কর্মজীবনে জনাব এম, এ, এন, ছিদ্দিক সহকারী সচিব (মন্ত্রিপরিষদ), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; সিনিয়র সহকারী সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি সফলভাবে সমন্বয় করে প্রত্যাশিত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করেন। তিনি সরকারের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দায়িত্ব পালনকালে সরকারের জনসেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছানোর নিমিত্ত বিদ্যমান নীতিমালা, পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন ইত্যাদি হালনাগাদে এবং জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব ও কার্যাবলী নতুনভাবে প্রণয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
জনাব এম, এ, এন, ছিদ্দিক তাঁর সুদীর্ঘ কর্মজীবনের অর্জিত জ্ঞান ও নেতৃত্বের গুণাবলীর সুসমন্বয়ে সড়ক পবিহন ও মহাসড়ক বিভাগে সরকারের সচিব হিসেবে দীর্ঘ ৬ বছর সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এই সময়ে বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থায় গতিশীলতা আনয়নে নবতর ধারণা ও উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেন।
সড়ক পবিহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব হিসেবে তাঁর নেতৃত্বে সম্পাদিত উদ্ভাবনসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- মোটরযানের কর ও ফি পরিশোধে অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু, ওয়েব-বেইসড লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, মোটরযানের রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নাম্বার প্লেট প্রদান, মোটরযানসমূহ সুনিপূণভাবে ট্র্যাকের জন্য বেতার তরঙ্গের ব্যবহার, মোটরযানের ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রদান, বিআরটিসি বাসে ই-টিকেট সেবা চালু, একক কার্ডের মাধ্যমে যে কোনো গণপরিবহনের ভাড়া পরিশোধের জন্য র্যাপিড পাস চালু, বিআরটিসি বাসযাত্রীদের ওয়াই-ফাই সেবা প্রদান, ডিজিটাল পদ্ধতিতে মোটরযানের ফিটনেস যাচাই ব্যবস্থা চালু, অনলাইনে টোল প্লাজার ব্যবস্থাপনার সূত্রপাত, জিআইএস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম) ব্যবহার করে জাতীয় মহাসড়কসমূহের ম্যাপিং প্রবর্তন এবং গুগল আর্থ ও গুগল ম্যাপে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সেতুসমূহের ডিজিটাল মার্কিং ইত্যাদি।
উপরন্তু, সড়ক পবিহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব হিসেবে তিনি জাতীয় মহাসড়ক নেটওয়ার্ক ও গণপরিবহন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে বেশ কিছু নবতর ধারণার বাস্তবায়ন করেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: আর্টিকুলেটেড বাস সার্ভিস, বাস র্যাপিড ট্রানজিট, উড়াল মেট্রোরেল, পাতাল মেট্রোরেল, জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, চারলেন মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে ধীর গতির যানবাহনের জন্য কম উচ্চতায় পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ, এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, অধিকতর সুরিক্ষত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ ইত্যাদি।
এই সকল দৃশ্যমান উদ্ভাবনী কার্যক্রম ছাড়াও তিনি সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন আইন, বিধি-বিধান, স্ট্র্যাটেজিক প্লান, মাস্টার প্লান, নীতিমালা এবং গাইডলাইনসমূহের সংশোধন ও পরিমার্জনে নেতৃত্ব প্রদান করেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় নতুন আইন ও বিধি-বিধান প্রণয়নেও তিনি নেতৃত্ব প্রদান করেন। তন্মধ্যে প্রনিধানযোগ্য হল: মেট্রোরেল আইন ২০১৫, মেট্রোরেল বিধিমালা ২০১৬, Technical Standards for the Metrorail in Bangladesh 2015 এবং ব্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) আইন ২০১৬ ইত্যাদি।
গুণগতমান বজায় রেখে মহাড়সক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে কিনা তা পরিবীক্ষণের নিমিত্ত তিনি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বহিঃপরিবীক্ষণ টিম গঠন করেন। বিদেশ সফর শেষে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর কর্মকর্তাদের ইংরেজিতে ডি-ব্রিফিং এর ব্যবস্থা চালু করেন, যাতে কর্মকর্তাগণ ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করেন এবং সেই বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে অন্যান্য কর্মকর্তাগণও সম্যক অবহিত হতে পারেন।
সরকারি দায়িত্ব পালনকালে জনাব এম, এ, এন, ছিদ্দিক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য ছিলেন।
জনাব এম, এ, এন, ছিদ্দিক তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিচার বিভাগেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট, বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলাসমূহের জেলা জজগণের আপীল কর্তৃপক্ষ ছিলেন। এছাড়াও ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৯৪ এর অধীনে গঠিত এ্যাডভাইজরী বোর্ডের সদস্য ছিলেন।
শিক্ষাজীবনে জনাব এম, এ, এন, ছিদ্দিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতিতে সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে জার্মান ভাষায় সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যায় থেকে বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনায় পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা এবং উন্নয়ন প্রশাসনে এমএসএস ডিগ্রী অর্জন করেন। উপরন্তু, তিনি দেশে ও বিদেশে সাফল্যের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে চাকুরিকালীন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। জনাব এম, এ, এন, ছিদ্দিক সরকারি চাকুরি ও পড়াশোনার পাশাপাশি উন্নয়ন ও প্রশাসন বিষয়ে বাংলাদেশ ও বর্হিবিশ্ব থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন জার্নাল ও সংবাদপত্রে দশেরও অধিক নিবন্ধন প্রকাশ করেছেন। তিনি সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত বিরতিতে ক্লাস নিয়ে থাকেন।
সরকারের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এবং বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)-এর পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। একই সময়ে তিনি বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড-এর পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন। অনন্য সুন্দর ছাদ বাগান করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার লাভ করেন।
জনাব এম, এ, এন, ছিদ্দিক তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে সেমিনার, প্রশিক্ষণ, নেগোসিয়েশন এবং বিবিধ পেশাগত প্রয়োজনে অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, চীন, কানাডা, মিসর, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপিন্স, পাকিস্তান, কাতার, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, স্পেন, শ্রীলংকা, সুইডেন, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভিয়েতনাম ভ্রমণ করেন।
জনাব এম, এ, এন, ছিদ্দিক মরহুম এ, এম, নুরুল হুদা ও মরহুমা জাহানারা বেগম দম্পতির বড় সন্তান। তিনি নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের রামনগর ডাকঘরের আওতাধীন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর গ্রামে ১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর স্ত্রী’র নাম জনাব নাসিমা সুলতানা এবং তিনি ৩ সন্তানের জনক। বাগান করা ও বই পড়া অন্যতম শখ।